প্রশান্ত মহাসাগরীয় টোঙ্গা দ্বীপে সুপ্ত আগ্নেয়গিরি জেগে সুনামিতে ৮০ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
বিশাল বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়ছে সমুদ্রপাড়েঃ বিচ্ছিন্ন টোঙ্গা, ব্রিটিশ নারীর লাশ উদ্ধার
প্রশান্ত মহাসাগরে একটি সুপ্ত আগ্নেয়গিরি জেগে উঠেছে। এর প্রভাবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ টোঙ্গায় সুনামি আঘাত হেনেছে। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, দ্বীপরাষ্ট্রটির রাজধানী নুকুআলোফে সুনামি আছড়ে পড়েছে। বিশাল বিশাল ঢেউয়ের পানি কয়েকটি চার্চ ও বাড়িঘরে ঢুকে পড়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার রাতে সমুদ্রগর্ভে সুপ্ত আগ্নেয়গিরি হুঙ্গা টোঙ্গা হুঙ্গা হা-আপাই সক্রিয় হয়ে উঠে। এর পর বজ্রপাত, ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু হয়। প্রচণ্ড শব্দ শোনা যায়। আগ্নেয়গিরি থেকে ছাই-পাথর সমুদ্রে ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। উল্লেখ্য যে, রাজধানী নুকুআলোফে আগ্নেয়গিরিটির মাত্র ৬৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যাতে দেখা গিয়েছে, বিশাল বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়ছে সমুদ্রপাড়ে। টোঙ্গার হাওয়া অফিস পরিষেবা জানিয়েছে, গোটা দ্বীপে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, লাভা উদগীরণের ফলে নির্গত ছাইয়ের আস্তরণ ৫ কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। একইসঙ্গে ধোঁয়া এবং গ্যাস সমুদ্রের উপর আকাশ ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে দেখা গেছে। টোঙ্গার কাছে এই সমুদ্রগর্ভে এই আগ্নেয়গিরি থেকে প্রতিবেশী দেশ নিউজিল্যান্ডের দূরত্ব ২,৩০০ কিলোমিটার। নিউজিল্যান্ডেও ঝড়-বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে।
শুক্রবার ভোররাতে সমুদ্রগর্ভে ওই আগ্নেয়গিরি জেগে উঠেছে। টুইটারে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে ওই টুইটার ইউজার লিখেছেন, আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাতের তীব্র শব্দ স্পষ্ট শোনা গিয়েছে। তা বেশ ভয়ঙ্কর। তার পর সমুদ্রে ছাই-পাথর ছড়িয়ে পড়েছে, গোটা আকাশ লাভার ধোয়ায় অন্ধকার হয়ে যায়।
সুনামিতে ভেসে যাওয়া ব্রিটিশ এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই নারীর ভাই এক বিবৃতিতে এ খবর জানিয়েছেন। সুনামিতে নিহত ওই ব্রিটিশ নারীর নাম অ্যাঙ্গেলা গ্লোভার। তাঁর বয়স ৫০ বছর। তিনি নিরাশ্রয় পশুর জন্য দাতব্য সংস্থা পরিচালনা করতেন। সুনামির পর থেকে ওই নারী নিখোঁজ ছিলেন বলে জানিয়েছিলেন তাঁর স্বামী।