পানিসংকট মোকাবেলায় আমাদের জেগে উঠতে হবে

বিশ্বে ৫০০ কোটি মানুষ পড়তে যাচ্ছে পানিসংকটে।

২০৫০ সালের মধ্যে ৫০০ কোটির বেশি মানুষ পানি পেতে অসুবিধায় পড়তে পারে। জাতিসংঘের চলতি বছরের পানি উন্নয়ন প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। রয়টার্স জানিয়েছে, গতকাল সোমবার ওই প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।

এর আগে ২০১৮ সালে ৩৬০ কোটি মানুষ বছরে অন্তত এক মাস পানি পেতে অসুবিধায় পড়ার কথা জানা গিয়েছিল।জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডাব্লিউএমও) গত বছরের অক্টোবরে এক রিপোর্টে এ তথ্য জানিয়েছিল।

ডাব্লিউএমও প্রধান পেটেরি তালাস ওই সময়ে বলেছিলেন, পানিসংকট মোকাবেলায় আমাদের জেগে উঠতে হবে।

ডাব্লিউএমও ওই সময় জোর দিয়ে বলেছিল যে গত দুই দশকে ভূমিতে সঞ্চিত পানির স্তর, ভূপৃষ্ঠে, ভূগর্ভে, তুষার এবং বরফে প্রতিবছর এক সেন্টিমিটার হারে হ্রাস পেয়েছে।

পানিসংকট আগামী তিন দশকে আরো খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, খরা, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে এই অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে বলে জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

২০৫০ সালের মধ্যে প্রতিবছর বিশ্বে পানির ব্যবহার এক শতাংশ হারে বাড়বে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পানি সরবরাহের প্রচলিত উৎস খাল ও বিল শুকিয়ে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর চাপ পড়ছে বলেও জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

বিশ্ব পানি উন্নয়ন প্রতিবেদন ২০২২-এ আরো বলা হয়েছে, বর্তমানে বিশ্বের ৯৯ শতাংশ সুপেয় পানির উৎস হলো ভূগর্ভস্থ। সেই পানির অবমূল্যায়ন, অব্যবস্থাপনা এবং অপব্যবহারের কারণে এটি ক্ষতির মুখে পড়ছে।

‘বৈশ্বিক পানিসংকটের সমাধান যদি আমাদের অজানা থেকে যায়, সেটা কেমন হবে?’- জানতে চেয়েছেন ইউনেসকো কর্তৃক প্রস্তুত করা প্রতিবেদনটির প্রধান সম্পাদক রিচার্ড কনর।

থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে রিচার্ড কনর আরো বলেছেন, ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারে টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে পারলে তা থেকে অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে।

সূত্র
রয়টার্স।

অনলাইন ডেস্ক

সংবাদটি এবং সংযুক্ত মিডিয়া (ছবি-ভিডিও-গ্রাফ) বিভিন্ন দেশীয় অথবা আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা হতে সংগ্রহীত অথবা অনুবাদকৃত। এর কোন কৃতিত্ব অথবা কপিরাইট আমাদের নয়।

এই বিভাগের আরো সংবাদ

Back to top button