“আশ” ফাউন্ডেশনের সাহায্য গাজায় পৌঁছেছে

গাযার উদ্দেশ্যে কায়রো ছেড়েছে আশ ফাউন্ডেশনের প্রথম সাহায্য চালান

আলহাজ্জ শামছুল হক ফাউন্ডেশনের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আরেকটি প্রতিষ্ঠান আশ ফাউন্ডেশন ইউএস ইনক এর প্রেসিডেন্ট এখন মিশরে অবস্থান করছেন। আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত মানবতার ফেরিওয়ালা প্রকৌশলী জনাব মুহাম্মাদ নাছির উদ্দিন মিশর সীমান্তে ফিলিস্তিনের গাজায় মানবতার সেবায় দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

মিসরে অবস্থানরত আশ ফাউন্ডেশনের ইউএস ইঙ্কের প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মুহাম্মাদ নাছির উদ্দিন

মিসর সীমান্তবর্তী ইসরাইল অধিকৃত ফিলিস্তিনের ভূমি গাজা এখন প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তুপে পরিণত। দীর্ঘ ৪০ দিন ধরে বর্বর ইহুদিবাদি বিমান হামলায় লাখ লাখ মানুষ আজ ভূমিহীন। ১১৫০০ জন শহীদ হয়েছেন। তার মধ্যে অধিকাংশই শিশু ও নারী। পঙ্গু ও মারাত্মক হতাহতের সংখ্যা নির্ণয় করা খুবই কঠিন।

আশ ফাউন্ডেশন ইউএস ইনকঃ এর প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন মিশরের সাবেক সভাপতি ঈসা আহমাদ ইসহাক

এহেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ থেকে বেসরকারি উদ্যোগে সর্বপ্রথম এগিয়ে এসেছেন আশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জনাব নাছির উদ্দিন। মিসর এসে প্রতিনিয়ত সম্মুখিন বিচিত্র সব অভিজ্ঞতার। মিসর ও ফিলিস্তিনের বাস্তবতার সাথে পরিচিত হচ্ছেন গভীরভাবে। নানা বিধিনিষেধ নিরাপত্তা জনিত কার্যক্রম সম্পন্ন করে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে গাজার অসহায় মানুষের পাশে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশী আপামর জনগনের প্রতিনিধি হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন।

গত রবিবার দিন আশ ফাউন্ডেশনের প্রথম চালান গাযার উদ্দেশ্যে কায়রো ছেড়েছে। এ ব্যাপারে জনাব প্রেসিডেন্ট তার নিজস্ব ফেইসবুক পোস্টে বলেনঃ

বহু যাচাই-বাছাই এর পর মিললো অনুমতি! কায়রো থেকে বিসমিল্লাহ বলে রওয়ানা দিলাম, রাফা সীমান্তের দিকে। মাজলুম ভাই-বোনগণের জন্য সাথে রয়েছে জরুরী খাবার সামগ্রী নিয়ে ASH Foundation এর প্রথম চালানের উপহার। ফিরে আসলে কথা হবে, ইনশাআল্লাহ। বিনীত ক্ষমা প্রার্থনা ও দোয়ায় শরীক রাখুন প্লিজ।
অন্য একটি পোস্টে জনাব নাছির উদ্দিন লেখেনঃ
জরুরী খাবার সামগ্রীর সাথে, চিকিৎসা সরঞ্জামেরো রিকয়ারমেন্ট আসছে। ইতোমধ্যে রাফা সীমান্তের আরিশ হসপিটালে পৌঁছেছে ছোট ছোট প্রায় দু’হাজার বাচ্চা। প্রতিদিন এ সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এই কচি মুখগুলোর দু:সহ স্মৃতি ভুলানোর জন্য আনন্দদায়ক কিডস পার্কের বিষয়টাও আমরা চিন্তা করছি। মহান আল্লাহ সর্বোত্তম তৌফিক দাতা। আলহামদুলিল্লাহ! সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ! জরুরী খাবারের প্রথম চালান ইতোমধ্যে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। মাজলুমগণের সহযোগিতায় প্রিয় বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকাটা আরো সুদৃঢ় হোক।

ঈসা আহমাদ ইসহাক

সহযোগী সম্পাদক : নিউজ বিভাগ এবং প্রধান অনুবাদক: আরবী বিভাগ

এই বিভাগের আরো সংবাদ

Back to top button