আমরা এখনই (কড়াকড়ি থেকে) পুরোপুরি সরে আসছি নাঃ প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন
পর্যায়ক্রমে সীমান্ত খোলার সময় জানাল নিউজিল্যান্ড
করোনাভাইরাস মহামারিতে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করেছে নিউজিল্যান্ড। পর্যায়ক্রমে সীমান্ত খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে দেশটি।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থানরত নিউজিল্যান্ডের নাগরিকরা ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে ফিরতে পারবেন। বিশ্বের অন্যসব দেশে অবস্থানরত টিকা নেওয়া নাগরিকরা নিউজিল্যান্ডে ফিরতে পারবেন ১৩ মার্চ থেকে।
দেশে ফিরে যাওয়ার পর সবাইকে ১০ দিন আলাদাভাবে ঘরবন্দি থাকতে হবে। সরকারি কোয়ারেন্টিনে থাকার বাধ্যবাধকতা নেই।
নিউজিল্যান্ড সরকারের এই পরিকল্পনায় পাঁচটি ধাপ রয়েছে।
করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় দুই বছর ধরে দেশটির সীমান্ত বন্ধ আছে। জেসিন্ডা আরডার্ন বলেছেন, ভাইরাসটি আসার আগে জীবন ছিল। তবে করোনা আসার পরেও জীবন থাকবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা গন্তব্যে পৌঁছানোর পথে ঠিকভাবেই আছি। তবে আমরা এখনই (কড়াকড়ি থেকে) পুরোপুরি সরে আসছি না।
প্রথমে ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত নিউজিল্যান্ডের নাগরিকরা ফিরে আসতে পারবেন।
বিশ্বের অন্যসব দেশ থেকে টিকা নেওয়া নাগরিকরা দেশে ফিরতে পারবেন ১৩ মার্চ থেকে। গুরুত্বপূর্ণ ও দক্ষ বিদেশি কর্মীরাও এই ধাপে নিউজিল্যান্ডে যেতে পারবেন।
১২ এপ্রিল থেকে বিদেশি পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী দেশটিতে যেতে পারবেন।
জুলাইয়ের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ানসহ অন্য পর্যটকরা ভিসা ফ্রি প্রক্রিয়ায় নিউজিল্যান্ডের যে কোনো স্থানে যেতে পারবেন। তারপর অক্টোবর থেকে পর্যটক, শিক্ষার্থীসহ অন্যরাও সে দেশের ভিসার জন্য অন্য স্বাভাবিক সময়ের মতো আবেদন করতে পারবেন।