Site icon World 24 News Network

রোহিঙ্গা সমস্যায় তুরস্কের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন যৌথ সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা

সংগৃহীত

রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে নিরাপদে, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসনে আরো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আবারো জোরালো আহবান জানিয়েছে। আন্তালিয়া কূটনৈতিক ফোরামে আয়োজিত “শরনার্থি ও অভিবাসিদের প্রতি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি” শীর্ষক প্যানেলে আলোচনাকালে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পশ্চিম) সাব্বির আহমেদ চৌধুরী এই আহবান জানান। তুরস্কের বিশিষ্ট গনমাধ্যম ব্যক্তিত্ব আন্দ্রেয়া সান পরিচালিত এই প্যানেলে আরো উপস্থিত ছিলেন, আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থার মহাপরিচালক আন্ত্মনিয় ভ্যাটিলিগো, তুরস্কের রেড ক্রিসেন্টের প্রেসিডেন্ট ডঃ কেরিম কিনিক, আন্তর্জাতিক অভিবাসন নীতি ও  উন্নয়ন সেন্টারের মহাপরিচালক মাইকল ইসপিংডিলেজার ও তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়াধীন অভিবাসন ব্যবস্থাপনা বিষয়ক মহাপরিচালক ডঃ সাবাস উনলু।

এছাড়া অপরাহ্নে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেদাত ওনালের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে তুরস্কের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন যৌথ সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

প্যানেল আলোচনার পাশাপাশি সাব্বির আহমেদ চৌধুরী জাতিসংঘের এলডিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জোসুয়া পোপো সেতিপার সাথেও বৈঠকে মিলিত হন। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে একটি উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরের ক্ষেত্রে এই বিশেষ ব্যাংকের ভূমিকার বিষয়ে তাঁরা আলোচনা করেন। এলডিসি ব্যাংকের একটি আঞ্চলিক শাখা বাংলাদেশে স্থাপনের সম্ভাবনার ব্যাপারেও তাঁরা মতবিনিময় করেন।

এছাড়া সাব্বির আহমেদ চৌধুরী CICA -এর নির্বাহী পরিচালক কারাত সারবেয়ের সাথেও বৈঠক করেন। বৈঠককালে ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা অস্থিরতা, মহামারি সংক্রান্ত বিপদসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের বৈদেশিক নীতি “সকলের প্রতি বন্ধুত্ব কারো প্রতি বৈরিতা নয়” উল্লেখ করে  সাব্বির আহমেদ চৌধুরী বিশ্বজুড়ে, বিশেষত, এশিয়ায় শান্তিপূর্ণ টেকসই সমাজ গঠনের পুনরুক্তি করেন। এছাড়াও তিনি  বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন।

অপরাহ্নে সাব্বির আহমেদ চোধুরী তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেদাত ওনালের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠককালে তুরস্কের রাষ্ট্রপতির সম্ভাব্য বাংলাদেশ সফর, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, বাংলাদেশের ইপিজিড ও হাইটেক পার্কে তুরস্কের সম্ভাব্য বিনিয়োগ এবং আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পর্যায়ে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে নিরবচ্ছিন্ন যৌথ সহযোগীতার বিষয়ে আলোচনা করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ের ৪র্থ বৈঠক ও যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের ৫ম বৈঠক এবছর বাংলাদেশে আয়োজনের ব্যাপারেও তাঁরা একমত হন।

Exit mobile version