ঘূর্ণিঝড় ‘শাহিন’, মরুদেশ ওমানে বিপর্যস্ত স্বাভাবিক জীবন
সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি, এখনওপর্যন্ত দুই জনের মৃত্যু প্রবল জলোচ্ছাসে একটি শিশু ভেসে গেছে।
এবার উত্তর আরব সাগরে উৎপত্তি হয়েছে আরেক ঘূর্ণিঝড় ‘শাহিন’। ঘূর্ণিঝড় শাহীনের তাণ্ডবে ওমান এখন অনেকটাই অচল। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বিমানের যাত্রীদের জন্য সতর্কতা জারি করেছে ওমান বিমানবন্দর। ওমান আবহাওয়া অফিসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ওমান বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নরত এবং ওমানে আসা সব ফ্লাইট আপাতত বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সব ফ্লাইট। প্রবলবেগের বাতাস এবং বৃষ্টিপাত থেকে সবাইকে সুরক্ষিত রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। ঘূর্ণিঝড় গুলাবের রেশ কাটতে না কাটতেই এ ঘূর্ণিঝড় এলো।
ওমান আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এ ঝড়ের প্রভাবে আরব সাগরের পানি ৫ থেকে ১২ মিটার উচ্চতা দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশটির দক্ষিণ ও উত্তর আশ শারকিয়াহ, মাস্কাট, উত্তর ও দক্ষিণ আল বাতিনাহ, আল দাখিলিয়াহ, আল দাহীরাহ, আল বুরাইমি এবং মুসান্দাম অঞ্চলে এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেইসঙ্গে ২০০ থেকে ৬০০ মিলিমিটার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতেরও সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অফিস আরো জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় শাহিনের প্রভাবে ওমানের বেশকিছু অঞ্চলে ৩০ থেকে ৮০ কিমি গতিবেগে ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে বন্যা দেখা দিতে পারে। এক বিবৃতিতে ওমান সিভিল এভিয়েশন অথরিটি জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় শাহিন বর্তমানে মাস্কাট থেকে দিক পরিবর্তন করে উত্তর আল বাতিনাহ প্রদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি আগামীকাল রবিবার (৩-অক্টোবর) সকালে মাস্কাট থেকে উত্তর আল বাতিনা পর্যন্ত উপকূলীয় অঞ্চলে সরাসরি প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করছে ওমান সিভিল এভিয়েশন অথোরিটি।