কিয়েভ সহ ইউক্রেন জুড়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
নিহত অন্তত ১১, যুদ্ধের প্রথম সপ্তাহের পর থেকে এটি সবচেয়ে বড় হামলা
রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ইউক্রেন জুড়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। রাজধানী কিয়েভ এবং অন্যান্য অনেক শহরের বেসামরিক এলাকায় আঘাত হানা হয়েছে। কিয়েভসহ সারাদেশে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার তৈরি গুরুত্বপূর্ণ সেতুতে বিস্ফোরণের ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে এ হামলা চালানো হয়েছে। ইউক্রেন নিজে স্পষ্টভাবে দায় স্বীকার না করলেও রাশিয়া বলছে ওই ঘটনা তাদেরই ‘সন্ত্রাসী কাজ’।
সকালের ব্যস্ত সময়ে কিয়েভ শহরের প্রাণকেন্দ্রে ব্যস্ত সড়ক, পার্ক এবং পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে রুশ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আঘাত হানে। শিশুদের একটি খেলার মাঠের পাশে একটি বিশাল গর্ত দেখা যায়। কাছাকাছি সেতুকে লক্ষ্য করেও হামলা চালানো হয়।
ভিডিওতে দেখা গেছে, গুরুতর আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া ‘বিশ্বের বুক থেকে ইউক্রেনকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছে। ’
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রাশিয়ার এসব হামলার কড়া সমালোচনা হয়েছে। ইইউর পররাষ্ট্র বিষয়ক মুখপাত্র জোসেপ বোরেল বলেছেন, এ ঘটনায় তিনি গভীরভাবে শোকাহত। যুক্তরাজ্য একে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে বর্ণনা করেছে। ফরাসি ও জার্মান নেতারাও টেলিফোনে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন।
সর্বশেষ কয়েক মাসে কিয়েভে কোনো বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেনি। তবে ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রথম কয়েক সপ্তাহ কিয়েভের আশপাশে হামলা চালিয়েছিল রুশ বাহিনী। কিন্তু এবারের হামলা শহরটির কেন্দ্রের আরো বেশি কাছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মাত্র দুই দিন আগে রাশিয়ার সাথে অধিকৃত ক্রিমিয়াকে সংযুক্ত করা একমাত্র সেতুটি বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর এ ঘটনা ঘটল।