Site icon World 24 News Network

ইসরায়েলি বন্দীনির যে চিঠিতে তুমুল আলোচনার ঝড়

বন্দিনীর লেখা চিরকুট। ছবিঃ সংগৃহীত

হা/মা/স জেনারেলদের প্রতি, যারা গত কয়েক সপ্তাহ আমার সঙ্গী ছিলেন-

আমরা আগামীকাল আলাদা হতে যাচ্ছি। তবে যাওয়ার আগে আমার অন্তরের অন্ত:স্থল থেকে আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আপনারা আমার মেয়ে এমিলিয়ার প্রতি যে অসম্ভব সুন্দর আদর ও যত্ন দেখিয়েছেন তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। বন্দিত্ব চলাকালীন আপনারা তাকে তার মা বাবার মতো আগলে রেখেছেন। সে তার ইচ্ছেমতো আপনাদের রুমে যেয়ে ঘুরে আসতে পারতো। সে আপনাদেরকে তার বন্ধু মনে করতো। শুধু বন্ধুই না, প্রকৃত আহবাব ও অন্তরঙ্গ বন্ধুর মতো ছিলেন আপনারা। বন্দির সময়টাতে আপনারা যেরকম অভিভাবকসূলভ আচরণ করেছেন, সে জন্য অসংখ্য, অগনিত ধন্যবাদ!

আপনারা আমার মেয়ের জ্বালাতন সহ্য করেছেন, অপর্যাপ্ততা সত্বেও বিভিন্ন ফলমূল, চকোলেট, মিষ্টান্ন দিয়ে তাকে সময় দিয়েছেন, সে জন্যও অশেষ ধন্যবাদ জানাই। বাচ্চাদের বন্দী হওয়া অনুচিত। কিন্তু আপনাদের অনুগ্রহ ও স্নেহময়তার পরশে আমার মেয়ে নিজেকে গাযযাহ’র রাণী ভাবতো। আরো সোজা ভাষায় বললে, সে নিজেকে বিশ্বের কেন্দ্রবিন্দু মনে করতে শুরু করেছিলো।

এই পথ পরিক্রমায় আমরা আরো অনেক ভালো মানুষ দেখেছি। এই লম্বা সময়ে একেবারে সাধারণ সৈনিক থেকে অফিসার পর্যন্ত সবাই আমাদের সাথে অত্যন্ত সুন্দর আচরণ ও মধুর ব্যবহার করেছেন।

আমার মেয়ে এখান থেকে কোন প্রকার মেন্টাল ডিজঅর্ডার ছাড়াই বাড়ি যেতে পারছে, সে জন্য আপনাদের প্রতি আমি চিরকৃতজ্ঞ।

গাযযায় আপনারা ভয়াবহ অবস্থা ও চরম মানবিক সংকট মোকাবিলা করছেন। এতদসত্বেও আপনারা আমাদের প্রতি যে উত্তম আচরণ করেছেন, সেটা আমি অবশ্যই সবাইকে বলবো।

ইশ, আমরা যদি এই পৃথিবীতে একে অপরের ভালো বন্ধু হতে পারতাম! আপনাদের এবং আপনাদের পরিবার পরিজনের সুস্থতা ও কল্যাণ কামনা করে শেষ করছি।

ইতি: দানিয়েল ও এমিলিয়া

Exit mobile version