ইসরাইলী কারাগারে প্রায় পাঁচ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি দাবি আরব লীগের
এলামী মোঃ কাউসার: কায়রো মিশর থেকে
বিশ্বব্যাপী আলোচিত সংগঠন আরব লীগের প্রতিষ্ঠা ১৯৪৫সালে। মিসরের রাজধানী কায়রোতে মাত্র ছয়টি দেশ নিয়ে যাত্রা শুরু করা সংগঠন টি এখন পুরো আরব বিশ্বকে সংযুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।
যদিও বিভিন্ন কারণে সিরিয়ার সদস্য পদ স্থগিত করা হয়েছে। বর্তমানে সংগঠনটি আরব বিশ্বের গণমানুষের নির্যাতন, গণহত্যা, মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে সবসময় সোচ্চার।
দীর্ঘদিন যাবত ইসরাইলের বিভিন্ন কারাগারে প্রায় পাঁচ হাজার ফিলিস্তিনির উপর চলছে এক নারকীয় হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতন। তা নিয়ে সদস্য দেশগুলোকে নিয়ে চলে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা।
“ইসরায়েলি কারাগার এবং আটক ফিলিস্তিনি ও আরব বন্দীদের বিরুদ্ধে মানাবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করেন আরব লীগের নেতারা। সমস্যার সমাধান না হলে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে আরব লীগ।
মিসরে আরব লীগের সদর দপ্তরে আয়োজিত সম্মেলনে এসব কথা বলেন বক্তারা। সেখানে প্রায় ২২টি দেশের স্থায়ী প্রতিনিধির প্রায় সকলেই অংশগ্রহণ করেন এবং সদস্য দেশগুলো ইসরাইলী এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার থাকার আহ্বান জানান। তবে মিসরসহ কয়েকটি দেশে বক্তব্য রাখা থেকে বিরত থাকেন।
সম্মেলনের একপর্যায়ে পরিবেশন করা হয় ইসরাইলী কারাগারের নির্যাতনের কিছু গোপন ভিডিও যা দেখে উপস্থিত অনেক সদস্যই আপ্লুত হয়ে পড়েন। এই সম্মেলন আয়োজক দেশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে ফিলিস্তিন।
সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে প্রশ্ন উত্তর এবং বিদেশি অতিথিদের আপ্যায়ন ও সম্মেলনে আগত সকলকেই ধন্যবাদ জানিয়ে আরব লীগের সেক্রেটারি ও ফিলিস্তিনের স্হায়ী প্রতিনিধি ড. সাইদ আবু আলী সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।