গত ১৫ই অগাস্ট সোমবার আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়া বিমানটির ভেতরে ৬৪০ জনের মতো যাত্রী ছিল বলে জানা যাচ্ছে । কাবুল বিমানবন্দর ছেড়ে যাওয়া সেই মার্কিন সি-১৭ পরিবহন বিমানটির ভেতরের ছবি প্রকাশ পেয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে।
জাতি হিসেবে সাধারণ আফগানরা কতটা বিশৃঙ্খল এবং অসচেতন, গত দুদিনে এর কিছু নমুনা দেখা গেল কাবুল বিমানবন্দরে।
আজ মঙ্গলবার বিকালে কাবুলে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে তালেবানরা। বিশৃঙ্খল আফগানিস্তানে শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনতে তালেবানের রূপরেখা কী হবে, তা হয়তো তুলে ধরা হবে এই সম্মেলনে। ইতোমধ্যে তালেবানরা সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কাজে যোগদানের আদেশ দিয়েছে। সেই আদেশ কতখানি কার্যকর হয়, তা দেখার বিষয়।
২০ বছর আগের তালেবান নেতৃত্ব এবং আজকের তালেবান নেতৃত্বের মধ্যে কিছুটা হলেও পরিবর্তন এসেছে। এর অন্তত দুটি প্রমাণ তালেবান কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত দুটি ভিডিওতে গতকাল দেখা গেল। একটিতে আফগানিস্তানের নারী চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলছেন স্থানীয় তালেবান নেতারা এবং তারা চিকিৎসাসেবা চালিয়ে যেতে তাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। আরেকটি ভিডিওতে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রীয় টিভি ভবনে তালেবান নেতাদের পরিদর্শন দেখানো হয়েছে।
২০ বছর আগের তালেবান হলে এই নারী চিকিৎসক ও নার্সদের সাথে কী আচরণ হতো, সেটা না বলে অন্তত এটুকু বলা যেতে পারে- টেলিভিশন ভবনটি এতক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে যেত।
সময়ের প্রয়োজনে চলার ছন্দে কিছুটা পরিবর্তন তারা এখন ধারণ করছেন। আশা করবো, এই পরিবর্তন কেবল নেতৃত্বের সারিতে সীমাবদ্ধ না থেকে মাঠপর্যায়েও তা ছড়িয়ে পড়ুক।