রাশিয়া জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের বাতাস ও মারাত্মক বন্যার কারণে দক্ষিণে প্রায় ১৯ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে। মস্কোর সংযুক্ত করা ইউক্রেনীয় অঞ্চলও এর মধ্যে রয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় গণমাধ্যমে ঝড়ের কারণে অন্তত চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
♦৪ জনের মৃত্যু ♦মলদোভা, জর্জিয়া ও বুলগেরিয়াতেও ঝড় ♦ইউক্রেনের ২০১৯টি গ্রাম-শহরে বিদ্যুৎ নেই ♦২১ জন ক্রুসহ জাহাজ তলিয়ে গেছে ♦ঐতিহাসিক অ্যাকোয়ারিয়াম ধ্বংস ♦ইউক্রেনের বৃহত্তম পতাকা ক্ষতিগ্রস্ত ♦১৫০০ উদ্ধারকারী মোতায়েন।
ঝড় ‘ক্রিমিয়ার পরিখা ধুয়ে দিয়েছে’
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্রিমিয়া উপদ্বীপে মস্কোর নিযুক্ত কর্মকর্তারা উপকূলীয় অঞ্চলে বন্যার কথা জানিয়েছেন। বিভিন্ন শহরের রাস্তায় পড়ে থাকা গাছ ও অন্যান্য ধ্বংসাবশেষ দেখা গেছে। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়াকে অবৈধভাবে রাশিয়া সংযুক্ত করে। ক্রিমিয়ার বেশ কয়েকটি পৌরসভায় এখন জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
এদিকে ইউক্রেনের ডিএসএনএস জরুরি পরিষেবা বলেছে, তুষারঝড় ও প্রচণ্ড বাতাস দেশের ১৬টি অঞ্চলে আঘাত হেনেছে। দক্ষিণ-পশ্চিমে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ওডেসা অঞ্চলে আটকে পড়া যানবাহন থেকে শিশুসহ ৪৮ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিছু জায়গায় তুষারপাত ৬.৬ ফুটের বেশি হওয়ার কারণে ৮৪০টির মতো যানবাহনকে সরিয়ে নিতে হয়েছিল। অন্তত এক হাজার ৩৭০টি পণ্যবাহী লরি বর্তমানে আটকে আছে। অন্তত ছয়জন হাইপোথার্মিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে ১৪টি সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।