Site icon World 24 News Network

‘নতুন এবং বিস্তৃত’ প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক সহযোগিতা

নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে শুক্রবার বৈঠকের আগে বরিস জনসন ও নরেন্দ্র মোদি। ছবি: এএফপি

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ভারত সফরে ‘নতুন এবং বিস্তৃত’ প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক সহযোগিতায় একমত হয়েছে ভারত ও যুক্তরাজ্য। দুই দিনের সফরের দ্বিতীয় দিনে বরিস জনসন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হন। এর বাইরে বরিস জনসন জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের আগে ভারতের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিও চান তিনি।

ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে স্পষ্ট ভাষায় পুরনো মিত্র রাশিয়ার নিন্দা করা নিয়ে সতর্ক অবস্থানের কারণে পশ্চিমাদের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে কিছুটা অস্বস্তির সৃষ্টি হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে ভারতের অবস্থানকে নড়বড়ে বলে আখ্যা দিয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটেই পশ্চিমা জোটের অন্যতম প্রভাবশালী সদস্য যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর করছেন।

ভারত যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে সাম্প্রতিককালে গঠিত কৌশলগত জোট কোয়াডের সদস্য হলেও রাশিয়ার সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক। রাশিয়ার কাছ থেকেই সবচেয়ে বেশি অস্ত্র-সরঞ্জাম কেনে ভারত। এ অবস্থায় দেশটিকে মস্কোর বলয় থেকে সরিয়ে নিজেদের দলে টানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমারা।

নয়াদিল্লিতে বরিস জনসন বলেন, ‘স্বৈরাচারী জবরদস্তির হুমকি আরো বেড়েছে। এ জন্যই আমাদের সহযোগিতাকে আরো গভীর করার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে রয়েছে ইন্দো-প্রশান্ত অঞ্চলকে উন্মুক্ত ও মুক্ত রাখা প্রশ্নে আমাদের দুই পক্ষের স্বার্থের ব্যাপারটিও। ’

ভারতের সঙ্গে নতুন অংশীদারিত্বকে ‘দশক দীর্ঘ প্রতিশ্রুতি’ আখ্যা দিয়েছেন জনসন। অন্যদিকে ভারতের স্বাধীনতার ৭৫তম বছরে জনসনের এ সফরকে ‘ঐতিহাসিক’ হিসেবেই দেখছেন মোদি। তিনি বলেছেন, ‘আমরা বেশ কিছু আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ঘটনা নিয়ে আলোচনা করেছি এবং ইন্দো-প্রশান্ত অঞ্চলে মুক্ত, উন্মুক্ত ও নিয়মভিত্তিক ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়েছি। ’

ভারত ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে সম্মত নিরাপত্তা অংশীদারির সুনির্দিষ্ট বিস্তারিত তাত্ক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। বরিস জনসন শুধু জানিয়েছেন, দুই দেশ প্রতিরক্ষা নিয়ে কাজ করার ব্যাপারে একমত হয়েছে। এর মধ্যে ভূমি, সমুদ্র, আকাশ, মহাকাশ ও সাইবার ক্ষেত্রে হুমকির মোকাবেলার বিষয় থাকবে। জানা গেছে, দেশ দুটি নতুন যুদ্ধবিমান প্রযুক্তি প্রশ্নে জোট বাঁধছে। এ ছাড়া সমুদ্রে ঝুঁকি শনাক্তে সামুদ্রিক প্রযুক্তি নিয়েও কাজ করবে তারা।

Exit mobile version