মহামারী করোনো যেতে না যেতেই পৃথিবীবাসী তুরস্ক ও সিরিয়ায় শতাব্দীর সেরা ভূমিকম্প প্রত্যক্ষ করলো। বিজ্ঞানীরা এর কারণ হিসেবে প্রাকৃতিক নানা ব্যাখ্যা- বিশ্লেষণ প্রদান করছেন। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মহোদয়ের বাংলাদেশে ভূমিকম্পের সম্ভাবনা ও এতে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আলোচনা শুনলাম। উনি নানা তথ্য- উপাত্ত দিয়ে ব্যাখ্যা করলেন যে বাংলাদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্প হতে পারে এবং সেটা হতে পারে ৮.২ মাত্রায় যেখানে তুরস্কে হয়েছিল ৭.৮ মাত্রা। সম্ভাবনা বেশি সিলেট থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা জুড়ে। আলেম-উলামারাও সতর্ক করছেন।
আমাদের জীবন বড়ো অনিশ্চিত। এই ভূমিকম্প বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের জন্য হতে পারে হেদায়েত বা সতর্কবার্তা যা আমাদেরকে পাপাচার থেকে ফিরিয়ে রাখবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে কেউ মারা গেলে রসুলুল্লাহ সা. তাকে শহিদ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। পক্ষান্তরে যারা পাপ-পঙ্কিলতায় ডুবে আছে তার জন্য করোনা বা ভূমিকম্প গজব। আকস্মিক মৃত্যুতে সে তওবা করার সুযোগ পায় না।
বাঁচার উপায় হলো তওবা করে পরিশুদ্ধ জীবন যাপন করা। আমরা সর্বক্ষণ আল্লাহর জিকিরে নিজেদের জিহবাকে সিক্ত করে রাখি। তওবা-ইস্তেগফার আমাকে – আপনাকে জান্নাতে পৌঁছে দিবে ইনশা-আল্লাহ।