লেবানন ইসরাইল যুদ্ধের আপডেট
সমগ্র ইজ্রাইলে 'স্টেট অব ইমার্জেন্সি' জারি
গতকাল সকাল থেকে লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী নিহতের সংখ্যা: ৫৫৮ জন নিহত এবং আহত ১,৭০০ জন।
কিছুক্ষণ আগে দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েল পুনরায় বিমান হামলা শুরু করেছে।
বিপরীতে ঝাঁকেঝাঁকে রকেট ও ড্রোন হামলা চালাচ্ছে হিজবুল্লাহ। যার অনেকগুলো লক্ষ্যবস্তুতে সরাসরি আঘাত হেনেছে।
এতে এখন পর্যন্ত কয়েক ডজন ইসরায়েলি বাসিন্দা আহত হওয়ার রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। তবে আহত হওয়া ইসরায়েলিদের কোনো খবর মিডিয়াতে তেমন আসছেনা।
আজ ভোর ৪ টা থেকে হিজবুল্লাহ বেশকিছু ইসরায়েলি সাইট লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালিয়েছে-
1. ফাদি-১ রকেট দিয়ে উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ডের জন্য আইডিএফের ‘আমোস’ লজিস্টিক ঘাঁটিতে।
2. ‘জিখরন’ এলাকায় ফাদি রকেট দ্বারা একটি বিস্ফোরক দ্রব্যের কারখানায়।
3. ফাদি-2 রকেট দ্বারা ‘Meggiddo’ সামরিক বিমানবন্দরে ।
4. লব বোমা’ দ্বারা ‘কিরিয়াত শমোনা’ বসতিতে।
5. একটি মিসাইল ব্যারেজ দিয়ে ‘নাফতলী’ ঘাঁটিতে আইডিএফের ১৪৬-তম ডিভিশনের লজিস্টিক্যাল গুদামে।
ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে প্রায় এক বছর ধরে চলা সংঘাত এখন পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে রূপ নিচ্ছে। শনিবার রাতে এবং রবিবার সকালে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রায় ১৫০টি রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে হিজবুল্লাহ। হাজার হাজার ইসরায়েলি এখন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। হাইফার কাছাকাছি বাড়িঘর জনশূন্য প্রায়।
আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিবের প্রাক্তন সিনিয়র নিরাপত্তা নীতি বিশ্লেষক মাইকেল মালুফ বলেছেন,
“ইরান এবং হিজবুল্লাহর কৌশল হল দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধের মাধ্যমে ইসরায়েলকে দুর্বল করা। কারন ইজরায়েলে দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধের ঘানি টানার মত যথেষ্ট সক্ষমতা নেই।”