মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি, লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি জর্ডানের ক্রাউন প্রিন্স হুসেইন বিন আবদুল্লাহ দ্বিতীয়ের অংশগ্রহণে গত সোমবার বিশ্ব যুব ফোরামের [WYF] ৪র্থ বছরের মত শুরু হয়েছে।
‘ব্যাক টুগেদার’ স্লোগানে ফোরামটি মিশরের লোহিত সাগরের রিসোর্ট এলাকা বা “বিশ্ব শান্তির শহর” হিসাবে অবহিত শারম এল-শেখে ১৯৬টি দেশের প্রতিশ্রুতিশীল তরুণদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়।
২০২১-এর WYF এজেন্ডায় অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যেগুলি করোনাভাইরাস মহামারীর পরে নতুন বাস্তবতার বৈশিষ্ট্যগুলিকে প্রতিফলিত করেছে এবং সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করেছে।
WYF-এর এবারের সংস্করণে অংশগ্রহণকারীদের কোভিড-19-এর কারণে সরাসরি ও দূরবর্তীভাবে (ভার্চুয়াল) উভয় সিস্টেমের মাধ্যমে উদ্বোধনী অধিবেশন সম্পন্ন হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরপরই WYF-এর মূল অধিবেশন টি ‘করোনা মহামারী: মানবতার জন্য বিপদ ও নতুন আশা’ এই শিরোনাম দিয়ে চলতে থাকে।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস মিশরের বিশ্ব যুব ফোরামের চতুর্থ আসরে অংশ নিতে রোববার মিশরে পৌঁছেছেন। মিশরে ফিলিস্তিনি দূতাবাস জানিয়েছে, ফোরামের কার্যক্রমে যোগ দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি আবদেল ফাত্তাহ এল সিসির আমন্ত্রণে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস দুই দিনের সফর করেন।
এছাড়াও, জর্ডানের ক্রাউন প্রিন্স হুসেইন বিন আবদুল্লাহ দ্বিতীয় এবং লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি ফোরামের বিভিন্ন পর্বে অংশ নিয়েছেন। ফোরামের প্রথম উদ্বোধনের পর জর্ডানি ক্রাউন প্রিন্সের এবার তৃতীয়বারের মতো অংশগ্রহণ করলেন।
“গঠনমূলক সংলাপের মাধ্যমে মতামত বিনিময়ের একটি বাস্তব সুযোগ করে দিয়েছে”- মিশরের রাষ্ট্রপতি আবদেল-ফাত্তাহ আল-সিসি মিশরীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, সুশীল সমাজের প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্বজুড়ে তরুণদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ৪র্থ WYF-এর সমাপনী অধিবেশনে সিসি এই মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেনঃ WYF ২০২২ “বিশ্বের তরুণদের নতুন নতুন ধারণা এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং টেকসই উন্নয়ন অর্জনের জন্য একটি গুরুতর এবং গঠনমূলক সংলাপের বৃহত্তর পরিবেশ তৈরি করেছে।”
তিনি ২০২২ সালকে “সিভিল সোসাইটির বছর” হিসাবে ঘোষণা করে বলেন, এই ফোরামটি আগামীতে মিশরের প্রতিবেশি রাষ্ট্র ও প্রাসঙ্গিক সংস্থাগুলি সহ যুব সমাজের পাশাপাশি স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক নাগরিক সমাজ-সংস্থাগুলির মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি সংলাপের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম স্থাপন করবে।
প্রেসিডেন্ট সিসি এছাড়াও আরও কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে স্থানীয় এবং বিদেশী সদস্যদের সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক যুব গোষ্ঠী গঠনের জন্য ফোরামের দায়িত্ব নেওয়া, যাতে তারা এই বছরের শেষের দিকে শারম এল-শেখে নির্ধারিত ২৭তম জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনের (COP27) প্রস্তুতিতে অংশ নিতে পারে।
ফোরামটিকে মিশর সহ সারা বিশ্বের তরুণদের মধ্যে সৃজনশীল দৃষ্টিভঙ্গি এবং ধারণাগুলি ভাগ করে নেওয়ার জন্য একটি স্থায়ী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সক্রিয় থাকতে বলা হয়েছে।
“এই আয়োজনের অর্জন ও ফলাফলগুলি পর্যায়ক্রমে রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে উপস্থাপন করা হবে, যা যেকোন শান্তিকামি রাষ্ট্রকে তার সমস্ত বিষয় এবং স্বার্থ নিশ্চিতের জন্য একটি দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করবে” বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন ।