পিরামিড দেখতে মানব পাখি
আফছার হোসাইন (কায়রো-মিশর থেকে)
মিশরের দি গ্রেট পিরামিড বরাবরই বিশ্ববাসীর কাছে এক অপার বিস্ময়। যার প্রতিটি পরতেই লুকিয়ে আছে শতাব্দী পুরনো হাজারো ইতিহাস। অনন্য এ নির্মাণশৈলীকে পাখির চোখে দেখতে এবার মিশরে আয়োজন করা হয়েছিল ‘প্যারামোটর ইভেন্ট’।
দেশটির সবচেয়ে বড় তিনটি পিরামিডের অসাধারণ রূপ উড়ে উড়ে দেখলেন এক দল উৎসাহী পর্যটক। যেন ঠিক পাখির মতো আকাশে উড়ে উড়ে পিরামিড দেখা। গত শুক্রবার ব্রাজিলের একটি পেশাদার প্যারামোটর পাইলট দল পিরামিডের ২০০ মিটার ওপর থেকে উড়ে উড়ে দেখলেন অনন্য এই নির্মাণশৈলীর অসাধারণ রূপ।
আয়োজনের উদ্যোক্তা ছিল প্যারামোটর স্পোর্টস ভিত্তিক স্কাইওয়ান নামের একটি প্রতিষ্ঠান । ভিন্ন চোখে প্রকৃতিকে দেখতে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন পর্যটন স্থানে ইভেন্টের আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি। স্কাইওয়ানের ম্যানেজার সামাহ মেবার বলেন, আমাদের জন্য এটা শুধু মাত্র খেলা নয়, প্রকৃতিকে একটু ভিন্নভাবে দেখার চেষ্টা। ২০১৭ সাল থেকে আমরা কাজ করছি। মিশরে এ ধরনের আয়োজন নতুনহলেও প্রায়ই আমরা এমন আয়োজন করে থাকি। আমরা চেয়েছি পর্যটকরা ভিন্নভাবে দেখবে পিরামিডের রূপ।
‘প্যারামোটর ইভেন্ট’ উৎসবটির কার্যক্রমের সময় উপস্থিত ছিলেন মিশরীয় প্যারাশুটিং ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুল রহমান আল-হাম্মাদ এবং ক্যাপ্টেন তামের নাসিম।
মিশরের সবচেয়ে বড়, পুরোনো এবং আকর্ষনীয় পিরামিড হচ্ছে গিজা’র দি গ্রেট পিরামিড যা খুফু’র পিরামিড নামে পরিচিত। এটি তৈরি হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ৫০০০ বছর আগে। ৭৫৫ বর্গফুট জমির উপর স্থাপিত এর উচ্চতা প্রায় ৪৮১ ফুট। ১ লাখ শ্রমিকের শ্রমে ২০বছর লেগেছিল এটি তৈরি করতে।
খুফু’র পিরামিডটি তৈরি করা হয়েছিল বিশাল বিশাল পাথর খন্ড দিয়ে। পাথর খন্ডের এক একটির ওজন ছিল প্রায় ৬০ টন, আর দৈর্ঘ্য ছিল ৩০ থেকে ৪০ ফুটের মত। এগুলো সংগ্রহ করা হয়েছিল দূর দুরান্তের পাহাড় থেকে। পাথরের সাথে পাথর জোড়া দিয়ে পিরামিড তৈরি করা হত।