মিসর কে কত গবেষক কত ভাবে পড়েছেন ! তার কোন সঠিক হিসেব কি কেউ দিতে পারবেন ? কেউ হয়ত বলেছেন Toby Wilkinson এর Rise and Fall of Ancient Egypt দিয়ে শুরু করতে । আবার কেউ হয়তো বলবেন বাংলায় অনূদিত ‘মিশরের ইতিহাস’ -আইজ্যাক আসিমভ ই যথেষ্ট । সন্দেশ প্রকাশনী থেকে দ্বিজেন্দ্রনাথ বর্মন এর করা বাংলায় অনুবাদ গ্রন্থটি প্রকাশ করেন লুতফর রহমান চৌধুরী । ২০১৬ সালে প্রকাশিত গ্রন্থটির প্রচ্ছদ করেছেন শারমিন নওরিন ।
মিশরের ইতিহাস বললেই আমরা সাধারনতঃ মনে করে থাকি প্রাচীন সভ্যতার কথা । কিছুটা অস্পষ্ট ভাবে মানসপটে ভেসে উঠে ‘প্রাচীন মিশর ছিল পৃথিবীর অন্যতম সমৃদ্ধ স্থান’ ! মিশরের পিরামিড , মমি , স্ফিংস এইসব এখনও পৃথিবীর অন্যতম রহস্যময় বিষয় । রহস্যঘেরা এই সকল জিনিস নিয়ে আছে নানা মিথ , নানা কাহিনী । ইতিহাসবিদরা মিশর এর নাম শুনলে রোমাঞ্চিত অনুভব করেন ।
ইতিহাসে মিশর এক রহস্য মোড়া, কুয়াশাঢাকা অধ্যায়। ইতিহাসবিদরা যখন তাকান এই সভ্যতার দিকে, তাদের চোখে থাকে রোমাঞ্চ । কিন্তু পিরামিড, মমি আর স্ফিংসের বাইরেও মিশর সভ্যতার তো একটা নিজস্ব গল্প আছে।
সেই গল্পটাই আইজ্যাক আসিমভ বলেছেন ‘মিশরের ইতিহাস’ – এ । প্রাগৈতিহাসিক মিশর থেকে শুরু করে শেষ করেছেন মুসলিম শাসনের যুগে গিয়ে । যে মিশরে প্রাচীন আর মধ্যযুগে জন্ম নিয়েছিল গণিত , জ্যামিতি ও ভূবিদ্যা সহ আরো কতশত শাস্ত্র । প্রণয়ন হয়েছিল সন গণনার নতুন বর্ষপঞ্জি ।
ইতিহাসের পূর্বেও নাকি ইতিহাস আছে ! তাও আবার সে ইতিহাস নিয়ে খুবই সন্দেহ সংশয়ও থাকে । ইতিহাসের বাস্তবতা নাকি খুবই সত্য ও নিরেট । সেই ইতিহাস থেকে মানুষ কমই শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে । সন্দেহাতীত একমাত্র কিতাব আল কুরআনেও মিসর নিয়ে কথা আছে । এমনকি পূর্ববর্তী আসমানি গ্রন্থগুলোতেও বিস্তর আলোচনা ছিল ।
ডঃ মরিস বুকাইলি তাঁর লিখিত ‘বাইবেল কুরআন ও বিজ্ঞান’ এও গবেষণা টেনেছেন । বাস্তবেও তিনি মিসর ও মমি নিয়ে বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত খুঁজেছেন । বিশ্বাসের বাতিঘরে আশ্রয় চেয়েছেন । থাক সেসব এখন । আমরা এখানে যে কাজটি করব মিশরকে নিয়ে পড়ব । পূর্ববর্তীদের দেখানো পথে আরও কিছুদূর যেতে চেষ্ঠা করব ।
প্রথমে আমরা আইজ্যাক আসিমভ এর উপর নির্ভর করে কিছুটা আগাবো । মাঝে মধ্যে প্রয়োজন হলে অন্য কোন উৎসের দিকে ঝুঁকব । ‘মিশরের ইতিহাসে’ লেখক গল্পচ্ছলে রহস্যন্মোচন করেছেন । একবার পড়া শুরু করলে থামতে মন চাইবে না ।
—–চলবে