প্রথমবারের মতো হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৭৯ যাত্রী নিয়ে নিজ ভূমিতে ফিরল মিশরের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা ইজিপ্ট এয়ার MS-971 উরোজাহাজটি।
গতকাল রোববার (১৪ মে) রাতে উদ্বোধনী ফ্লাইটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৭৯ যাত্রী নিয়ে রওনা হয় ফ্লাইটটি।
এর আগে ইজিপ্ট বোয়িং ৭৮৭-৯০০ উড়োজাহাজটি কায়রো থেকে ঢাকায় অবতরণ করলে ওয়াটার স্যালুটের মাধ্যমে উদ্বোধনী ফ্লাইটটিকে বিমান বন্দরের রানওয়েতে স্বাগত জানানো হয়।
উদ্বোধনী ফ্লাইটের আগমন উপলক্ষ্যে বিমানবন্দরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ইজিপ্ট এয়ারের সরাসরি ফ্লাইটকে স্বাগত জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-মিশর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সত্যিকার অর্থেই এটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, দুই দেশের মধ্যে সরাসরি আকাশ যোগাযোগ স্থাপনের ফলে উভয় দেশের পর্যটন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রাণ সঞ্চার হবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে একটি আঞ্চলিক হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। এ কারণে আমরা অন্যান্য বিদেশি এয়ারলাইন্স গুলোকে বাংলাদেশে ফ্লাইট চালু করতে উৎসাহিত করছি।
এসময় ইজিপ্ট এয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ইহাব ইল তাহতাভি বলেন, বাংলাদেশে ফ্লাইট শুরু করতে পেরে আমরা সত্যিই আনন্দিত। আমাদের জন্য বাংলাদেশের এভিয়েশন খাত অনেক সম্ভাবনাপূর্ণ। আমি আশা করি, সম্মানিত বাংলাদেশি যাত্রীরা ফ্লাইটে এবং গ্রাউন্ডে আমাদের বিশ্বমানের সেবা উপভোগ করবেন। বাংলাদেশ থেকে ভ্রমণকারী যাত্রীরা কায়রো হয়ে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা এবং এশিয়ার ৮০টির অধিক গন্তব্যে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সুবিধাজনক সংযোগ পাবেন।
তিনি বলেন, মিশরের রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইন্স ইজিপ্ট এয়ারের মাধ্যমে মিশরীয় আতিথেয়তা উপভোগ করতে পারবেন বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশে ভ্রমণের জন্যও আমরা মিশরের পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে চেষ্টা করব।
ইজিপ্ট এয়ারের পরিচালক (হলিডে) রোলা হেশাম বলেন, ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য মিশর একটি জনপ্রিয় গন্তব্য। আর ইজিপ্ট এয়ার মিশরে ভ্রমণের নানা রকম অফার দিচ্ছে। ইউরোপ, আমেরিকায় যাওয়া বা আসার ক্ষেত্রে যে কেউ মিশরে ভ্রমণ করতে পারবেন কম খরচে।
প্রাথমিকভাবে ঢাকা-কায়রো-ঢাকা রুটে সপ্তাহে দুই দিন রোববার ও বুধবার নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালিত হবে। ফ্লাইট পরিচালনায় ব্যবহৃত হবে সুপরিসর বোয়িং ৭৮৭-৯০০ উড়োজাহাজ, যার ইকোনমি শ্রেণিতে ২৭৯টি এবং বিজনেস শ্রেণিতে ৩০টি আসন রয়েছে।