বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড কে বাংলা ওয়াশ
১৬ রানের রুদ্ধশ্বাস জয়ে সিরিজের সবকটি ম্যাচ জিতে নেয়
ইতিহাসের বইয়ের আরো একটি বাংলাওয়াশ যুক্ত হলো! এই সিরিজটি টাইগারদের জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে এবং তারা সাদা-বল ক্রিকেটের চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে ৩ টি ম্যাচেই সহজে জয় লাভ করেছে। সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ টি-টোয়েন্টিতে ইংলিশ লায়ন্সরা ১৬ রানে পরাজিত হয়েছে এবং টাইগাররা তাদের পরবর্তী শিকারের অপেক্ষায় রয়েছে।
মিরপুর শেরেবাংলায় রান তাড়ায় নেমে ইনিংসের তৃতীয় বলেই ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড। অভিষিক্ত স্পিনার তানভীর ইসলামের বলে ফিল সল্টকে (০) স্টাম্পড করে দেন লিটন দাস। পরের ওভারে তাসকিনের বলে ডেভিড মালানকে এলবিডাব্লিউ দিলেও তিনি রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান। অধিনায়ক জস বাটলারের সঙ্গে তার জুটি জমে ওঠে।
৪৩ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন মালান৷ মুস্তাফিজের বলে ৫৩ রানে থামে মালানের ইনিংস৷ এটা টি-টোয়েন্টিতে তার শততম উইকেট। ম্যালান আউট, ঠিক পরের বলে আউট বাটলারও। মোস্তাফিজের লেংথ বলটা পয়েন্টে খেলে সিঙ্গেল নিতে গিয়েছিলেন বেন ডাকেট, সাড়াও দিয়েছিলেন বাটলার। তবে মিরাজের সরাসরি থ্রোয়ে ভেঙেছে স্টাম্প।
১৭তম ওভারে তাসকিন বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন ম্যাচ। একই ওভারে মঈন ও ডাকেটকে ছাঁটেন তিনি। ১০ বলে ৯ করে মঈন ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দেন মিরাজের হাতে। ফুল ডেলিভারিতে ১১ বলে ১১ রান করা ডাকেটের স্টাম্প উপড়ে যায়।
পরের ওভারে মোস্তাফিজ খরচ করেন মোটে ৫ রান। এরপর ১৯তম ওভারে ৪ রান দিয়ে সাকিব সাজঘরে পাঠান স্যাম কারানকে। শেষ ওভারে ২৭ রানের কঠিন সমীকরণ মেলানো হয়নি ওকস ও জর্ডানের। প্রথম দুই বলেই চার হজমের পর তরুণ পেসার হাসান নিজেকে সামলে নেন। পরের চার বলে মাত্র ২ রান দিয়ে উল্লাসে মাতান বাংলাদেশকে।
সিরিজসেরার পুরস্কার জেতেন তরুণ বাঁহাতি ব্যাটার শান্ত। তিন ম্যাচে এক হাফসেঞ্চুরিসহ ১২৭.৪৩ স্ট্রাইক রেটে ১৪৪ রান করেন তিনি।