আফ্রিকান নেশন্স কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে স্বাগতিক ক্যামেরুনকে ১-৩ গোলে হারিয়ে ফাইনালে মিশর। নির্ধারিত নব্বই মিনিট গোল শূন্য সমতা থাকার পর অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিটেও দুর্ভেদ্য জালের দেখা পায়নি কোনো দল। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে নিষ্পত্তি হয় ম্যাচ। যেখানে শেষ হাসি হেসেছে মিশর।
স্বাগতিক ক্যামেরুনকে টাইব্রেকারে হারিয়ে আফ্রিকান নেশন্স কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে মোহাম্মদ সালাহ’র দল মিশর। গতকাল ইয়াউন্ডে অনুষ্ঠিত তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপুর্ন ম্যাচের ১২০ মিনিট পর্যন্ত গোল করতে পারেনি কোন দল। পরে টাইব্রেকারে অদম্য সিংহদের ৩-১ গোলে হারায় ফারাওরা।
এ নিয়ে দশমবারের মত নেশন্স কাপের ফাইনালে পা দিল মিশরীয়রা।
ম্যাচ জয়ের মুল নায়ক মিশরীয় গোল রক্ষক মোহাম্মদ আবু গাবাল। ওলেম্বে স্টেডিয়ামে পোস্টের বাইরে বল মেরে ক্লিনটন এনজি ক্যামেরুনের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখার শেষ সুযোগ হাতছাড়া করার আগে হ্যারল্ড মউকৌদি ও জেমস লিয়া-সিলিকির দুটি শট রুখে দেন গাবাল।
মিশরিয় দলের হয়ে সাধারণত পঞ্চম পেনাল্টি শট নিয়ে থাকেন সালাহ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলকে জয় পাইয়ে দিতে চূড়ান্ত শটটি নিতে হয়নি লিভারপুল তারকার। এই জয়ে আগামী রোববার ওলেম্বে স্টেডিয়ামে ফাইনালে সেনেগালের মোকাবেলা করবে মিশর।
ফাইনাল ম্যাচে সালাহ তার লিভারপুল সতীর্থ সাদিও মানের দলকে হারাতে পারলে রেকর্ড অস্টমবারের মত আফ্রিকান নেশন্স কাপের শিরোপা ঘরে তুলতে পারবে ফারাওরা। অপরদিকে এখনো শিরোপার অপেক্ষায় রয়েছে সেনেগাল।
পুরো ম্যাচেই সাতবারের চ্যাম্পিয়ন মিশরের উপর দাপট দেখায় স্বাগতিক ক্যামেরুন। প্রথমার্ধে বেশ কয়েকবার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন স্বাগতিক ফরোয়ার্ডরা। সুযোগ এসেছিল মোহাম্মদ সালাহর মিশরের সামনেও। গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেনি লিভারপুলের এই তারকা। তবে ভাগ্য সহায় থাকায় শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ফাইনাল নিশ্চিত হয় মিশরের।
আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ফাইনালে সাদিও মানের সেনেগালের মুখোমুখি হবে আফ্রিকান নেশন্স কাপের সফলতম দেশটি।