আল-আযহারের সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি করবে পিএইচপি ফ্যামিলি

মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম নিয়ে আপত্তি ও বিতর্ক অর্থহীন

মিশরের কায়রো আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের দাওয়া অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. জামাল ফারুক মাহমুদ বলেছেন, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন নিয়ে আপত্তি একেবারেই অযৌক্তিক। কোরান, হাদিস, ইজমা ও কিয়াসের মাধ্যমে এর বৈধতা প্রমাণিত। প্রায় ১১শ’ বছরের পুরনো আল আযহারে প্রতি বছর মিলাদুন্নবী উদযাপন হচ্ছে।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে নগরীর নাছিরাবাদ হাউজিংয়ের মহসিন ভিলায় মিলাদুন্নবী উদযাপন ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অথিতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আযহার থেকে আগত শায়খ ডঃ জামাল ফারুক। পিএইচপি ফ্যামিলি ও ওয়ার্ল্ড এসোসিয়েশন অফ আল আযহার গ্রাজুয়েটস বাংলাদেশ শাখা যৌথভাবে এ অনুষ্ঠার্নে আয়োজন করে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন মাদ্রাসার যেসব শিক্ষার্থী আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে এসেছেন তাদের নিয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ল্ড এসোসিয়েশন অফ আল আযহার গ্রাজুয়েটস বাংলাদেশ শাখার সভাপতি আলহাজ সুফি মুহাম্মদ মিজানুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিএইচপি ফ্যামিলির পরিচালক মুহাম্মদ আলী হোসেন সোহাগ। আল্লামা কাজী মাওলানা মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন আশরাফি ও আল আযহার গ্রাজুয়েটসদের পক্ষে ড. মুহাম্মদ কামালুদ্দিন আযহারী বক্তব্য দেন।

মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই মন্তব্য করে শায়খুল আযহার বলেন, ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী, হাফেজ ইরাকি, ইমাম সাখাবী, ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি, ইমাম মোল্লা আলী ক্বারীসহ সর্বজন স্বীকৃত অসংখ্য ইমাম এ বিষয়ে বৈধতার ফতোয়া দিয়ে স্বতন্ত্র কিতাব রচনা করেছেন। ফলে মিলাদুন্নবী নিয়ে আপত্তি একেবারেই অযৌক্তিক।

ইসলামে স্বীকৃত চার মাজহাবের কোন একটির অনুসারী না হলে আল আযহারে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়না জানিয়ে তিনি বলেন, আযহারে কোরান-সুন্নাহ ভিত্তিক শিক্ষা দেওয়া হয়। যারা মাজহাব মানে না তারা ইসলামের শত্রু। ইসলামের প্রকৃত সত্য তুলে ধরলে পৃথিবীতে কোন সমস্যা থাকবে না। কারণ ইসলাম উগ্রবাদ সমর্থন করে না। ইসলামে জঙ্গীবাদের কোন স্থান নেই।

আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লব্ধ জ্ঞান সঠিকভাবে তুলে ধরতে সেখান থেকে আসা বাংলাদেশি আলেমদের প্রতি অনুরোধ জানান। অনেকেই সেখান থেকে পড়ে এসে মিলাদুন্নবীর বিরুদ্ধে ফতোয়া দেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আল আযহারে পড়ে তারা ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দেন। তারা আযহারী বিশেষণ লাগিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আদর্শকে বিতর্কিত করেন। মানুষকে বিভ্রান্ত করেন। এসব বিষয়ে এবং ভ্রান্ত ধারণায় ডুবে থাকা নামধারী আযহারী থেকে সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান।

বাংলাদেশের বিভিন্ন মাদ্রাসার ছাত্রদের আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানোর বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি যোগসূত্র তৈরির কথা জানিয়েছেন সুফি মুহাম্মদ মিজানুর রহমান। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, এ বিষয়ে পিএইচপি ফ্যামিলি সব ধরনের সহযোগিতা করবে। সঠিক আক্বিদায় পরিচালিত মাদ্রাসা থেকে মেধাবি ছাত্রদের আল আযহারে পাঠানোর উদ্যোগ নেব। যাতে দেশে এসে ইসলামের মূল ও সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারেন। এজন্য সবাইকে একই ছাতার নিচে এসে কাজ করার আহ্বান জানান।

বিদেশি অর্থায়নে একটি মহল ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালিয়ে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বলে অভিযোগ করেন পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, যারা আল আযহারের সত্যিকারের আদর্শ নিয়ে দেশে এসেছেন তাদের দায়িত্ব হলো অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।

সংগৃহীত

পরিশেষে মিলাদ মাহফিল, দোয়া-মোনাজাতে জাতির সার্বিক কল্যাণ কামনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

সূত্র
Green Bangla Online, Amader Shomoy

অনলাইন ডেস্ক

সংবাদটি এবং সংযুক্ত মিডিয়া (ছবি-ভিডিও-গ্রাফ) বিভিন্ন দেশীয় অথবা আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা হতে সংগ্রহীত অথবা অনুবাদকৃত। এর কোন কৃতিত্ব অথবা কপিরাইট আমাদের নয়।

এই বিভাগের আরো সংবাদ

Back to top button