Site icon World 24 News Network

মাহে রমজানকে স্বাগত জানানোর লক্ষ্যে প্রস্তুত হই

শাবান মাস রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণের মাস।

রমজান আসছে ত্রুটি-বিচ্যুতি পুড়িয়ে নিখাদ খাঁটি করার লক্ষ্যে। রসুলল্লাহ সা. ও সাহাবায়ে কেরাম শাবান মাসে অধিক পরিমাণে নফল রোজা, নামাজ ও দান-সদকা করতেন। আমরাও প্রিয়তম নবি সা.-কে অনুসরণ করে অন্তত প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার এবং শাবানের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ (১৭-১৯ মার্চ, বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার) রোজা পালন করতে পারি। সেই সাথে সেহরি খাওয়ার পূর্বমুহূর্তে তাহাজ্জুদ আদায় করতে পারি। আসুন, আমরা আমাদের নেকির পাল্লাকে ভারি করে নেই।

আল্লাহপাক আমাদের শারীরিক সুস্থতা দান করুন এবং রমজানের বরকত পূর্ণমাত্রায় লাভ করার তৌফিক দান করুন। আমিন।

শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রাখুন।

শাবান মাসে রোজা রাখা সুন্নাত এবং এ মাসে বেশি রোজা রাখাও সুন্নাত। এমনকি আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেছেন, “আমি আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শাবান মাসের চেয়ে অন্য কোনো মাসে অধিক (নফল) রোজা রাখতে দেখিনি।” (সহিহ বুখারি, হা/১৯৬৯; সহিহ মুসলিম, হা/১১৫৬) সুতরাং এই হাদিস অনুযায়ী শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রাখা বাঞ্ছনীয়।

আলিমগণ বলেছেন, শাবানের রোজা ফরজ সালাতের সুন্নাতে রাতিবাহর মতো। যেন তা রমজান মাসের প্রারম্ভিকা, অথবা রমজান মাসের রাতিবাহ (অনুগামী) সুন্নাত। একারণে শাবান মাসে রোজা রাখা এবং শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা রাখা সুন্নাত করা হয়েছে, যেমনভাবে ফরজ সালাতের আগে ও পরে সুন্নাতে রাতিবাহ রয়েছে।

শাবান মাসে রোজা রাখার আরেকটি ফায়দা আছে। আর তা হলো—এর ফলে রোজা পালনের জন্য নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়া যায় এবং নিজেকে প্রস্তুত করা যায়। যাতে করে যারা রমজানের রোজা পালন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাদের জন্য তা (রমজানের রোজা) পালন করা সহজসাধ্য হয়।”

তথ্যসূত্র:
ইমাম ইবনু উসাইমিন রাহিমাহুল্লাহ, মাজমুউ ফাতাওয়া ওয়া রাসাইল, খণ্ড: ২০; পৃষ্ঠা: ২২-২৩; দারুল ওয়াতান, রিয়াদ কর্তৃক প্রকাশিত; সন: ১৪২৩ হি./২০০৩ খ্রি. (১ম প্রকাশ)।

Exit mobile version