জানাজার নামাজ
কিছু লোক আদায় করলে সকলের ফরজিয়াত পালন হয়ে যায়
জানাজার নামাজ ফরজে কেফায়া। কিছু লোক আদায় করলে সকলের ফরজিয়াত পালন হয়ে যায়। রসুলুল্লাহ সা. জানাজার নামাজ ও দাফনে প্রভূত সওয়াবের কথা বলেছেন। নামাজে এক কিরাত ও দাফনে এক কিরাত সওয়াব হাদিস থেকে জানা যায়। নিজের প্রিয়জন, প্রতিবেশী ও সুযোগ পেলে সকল মুসলমানের জানাযায় শরীক হওয়া আমাদের উচিত। মাইয়াতের জন্য দোয়ার পাশাপাশি নিজের আমলনামা সমৃদ্ধ হয় ও মৃত্যুর কথা স্মরণ হয়। মৃত্যু অনিবার্য। প্রতিনিয়ত আমরা দেখি এবং জানাজা ও দাফনকাজে শরীক হই। অথচ আমিও যে মরবো সেটি শুধু ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রজেউন পড়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখি। মৃত্যু চিন্তা ও ভয় আমাদের আমল আখলাকে কোনো পরিবর্তন আনে না। এমনকি নামাজের মতো মৌলিক ইবাদতেও (যেটি মুসলমান হওয়ার দলিল ও প্রমাণ) আমরা অনেকেই গাফেল। আমাদের সবারই উচিত আমার জানাজা পড়ার আগে নিজেই নিজের নামাজে একনিষ্ঠ হয়ে পড়ি।
মসজিদ উত তাকওয়ায় আজকে আছরে জানাজায় শরীক হলাম। এখানে প্রায়ই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। কারণ এখানে মাইয়াতের গোসল ও কাফন পরানোর সুব্যবস্থা রয়েছে। গাইবান্ধার একজন লোক চিকিৎসা উদ্দেশ্যে ইবনে সিনায় ভর্তি ছিলেন। ১৫ দিন চিকিৎসা নেয়ার পর আজ দুপুরে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রজেউন)। ইতোপূর্বে স্কয়ার হাসপাতালে আমার বেয়াই ইন্তেকাল করলে এখানে গোসল ও কাফন পরানোর পর জানাজা দেয়া হয়েছিল।
মসজিদ উত তাকওয়ায় নানাবিধ সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। এককথায় একটি জীবন্ত মসজিদ। এখানে রয়েছে একটি উন্নতমানের হাফিজিয়া মাদ্রাসা, এলোপ্যাথি ও হোমিওপ্যাথি দাতব্য চিকিৎসালয় এবং সবসময় তালিম ও তারবিয়াতের কাজ জারি রয়েছে। বন্যা, শীতসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে মসজিদ থেকে ব্যাপক সাহায্য সহযোগিতা করা হয়। এখানকার মানুষও বেশ দানশীল। জুমায় বক্স কালেকশন থেকে সেটি উপলব্ধি করা যায়। গত জুমায় কালেকশন ছিল ১,৮০,১০৬/- টাকা। আল্লাহ তায়ালা সকলের দান ও কর্মপ্রচেষ্টা কবুল করুন। আমিন।