পর্দা : একটি ফরজ ইবাদত
'রসুলের সা. যুগে নারী স্বাধীনতা' ৪ খণ্ড বই (১৪৭১ পৃষ্ঠা)
নামাজ-রোজার মতো পর্দা নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য একটি ফরজ ইবাদত। দুর্ভাগ্য, মুসলমানদের কাছে এই বিধানটি বড় উপেক্ষিত। বর্তমানে পর্দাহীনতার সয়লাব বয়ে চলেছে। নামাজ-রোজা পালনকারী এমন অনেকে আছেন যারা পর্দার ব্যাপারে বড় উদাসীন। কারো কারো মতে বর্তমান সময়ে পর্দা মানা সম্ভব নয়। এটি কি হতে পারে, আল্লাহ তাঁর বান্দাদের জন্য বিধান দিবেন অথচ সেটি মানা অসম্ভব? এমনটি কক্ষণো হতে পারে না। ফিতরাতের ধর্ম ইসলাম সর্বকালের ও সর্বযুগের জন্য উপযোগী। হয়তো আমরা কঠিন করে নিয়েছি। ইসলাম একটি সহজ জীবন যাপনের বিধান। আল্লাহ এই বিধান পালনের মধ্যে কোনো কাঠিন্য রাখেননি। আমরা কুরআন-হাদিস ও ফিকাহ শাস্ত্রের আলোকে সেটি তুলে ধরার চেষ্টা করবো ইনশা-আল্লাহ।
মিশরীয় স্কলার আব্দুল হালিম আবু শুক্কাহ রচিত ‘রসুলের সা. যুগে নারী স্বাধীনতা’ ৪ খণ্ড বই (১৪৭১ পৃষ্ঠা) আমার কাছে রয়েছে। এর অনুবাদ করেছেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দাওয়া এন্ড ইসলামিক স্টাডিজের প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবুল কালাম পাটোয়ারী ও আরো বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ। সম্পাদনা করেছেন আব্দুল মান্নান তালিব। মূল বইয়ের ভূমিকা লিখেছেন বিশ্ববরেণ্য ফকিহ ড. ইউসুফ আল কারযাভী। বইটি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থট (BIIT)।
সম্ভবত আরো দুটি খণ্ড রয়েছে। এতো বড় বই আসলে পড়া সহজসাধ্য নয়। আমি নিজেও পুরো বই পড়তে পারিনি। তবে ইচ্ছা করেছি কুরআন-হাদিস ও এই বইটির সহায়তা নিয়ে মাত্র দুই ফর্মার (৩২ পৃষ্ঠা) পর্দার উপরে একটি বই লেখার যাতে পর্দা সম্পর্কীয় মৌলিক কথাগুলো আসে। আল্লাহপাক সাহায্য করুন। কতটুকু সফল হবো আল্লাহই ভালো জানেন। সবার দোয়া চাই।