একজন মুসলমান আজান শোনার পর আর স্থির থাকতে পারে না। মুয়াজ্জিন আল্লাহু আকবার ধ্বনি উচ্চারণ করার মাধ্যমে মহান আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্বই ঘোষণা করেন। আল্লাহর চেয়ে বড়ো আর কেহ নেই। মসজিদে হাজির হওয়াটাই তখন সবচেয়ে বড়ো কাজ।
হাই আলাচ্ছলাহ, হাই আলাল ফালাহ- নামাজের দিকে এসো, কল্যাণের দিকে এসো। সেসময়ে নামাজের চেয়ে কল্যাণকর আর কোনো কাজ নেই। আখেরাতে সবার আগে হিসাব দিতে হবে নামাজের। নামাজের হিসাব দিয়ে যে পার পেয়ে যাবে সে সফলকাম। আপনারা সবাই জানেন, নামাজ বেহেশতের চাবি। যার হাতে চাবি থাকবে সে তো আশা করতেই পারে, সেই চাবি দিয়ে জান্নাতের কোনো একটা ঘর খুলতে পারবে। আপনারা নামাজে আন্তরিক হন।
আশা করা যায় আল্লাহ ক্ষমা করে জান্নাত দান করবেন। সুরা মাউনে আল্লাহ বলেন, ঐ সমস্ত নামাজিদের জন্য ধ্বংস যারা নামাজে অবহেলা করে এবং লোকদেখানো কাজ করে। অর্থাৎ নামাজে অবহেলা করা যাবে না। দুই ওয়াক্ত পড়লেন আর তিন ওয়াক্ত বাদ গেল এমনটি যেন না হয়। আবার জুমা পড়লেন কিন্তু ওয়াক্তের নামাজের খবর নেই। এমনটিও যেন না হয়। জুমার নামাজ যেমন আমাদের প্রতি ফরজ তেমনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামায়াতের সাথে আদায় করাও ফরজ।
রসুলু সা. ঐ মুসল্লিদের সুসংবাদ শুনিয়েছেন যারা এশা ও ফজরের নামাজ জামায়াতের সাথে আদায় করে এবং বলেছেন তাদের সমগ্র রাত ইবাদতের মধ্যে অতিবাহিত হয়। তিনি আরো বলেছেন, আমাদের ও মুনাফিকদের মাঝে পার্থক্য হলো এশা ও ফজরের সালাতে শরীক হওয়া। মুনাফিকরা ফজর ও এশার সালাতে শরীক হতে পারে না।
নামাজ সঠিকভাবে আদায় করার জন্য সহিহ করে কুরআন শিখতে হবে। রসুলুল্লাহ সা.-এর উপর প্রথম ওহি ছিল ‘ইকরা’ অর্থ পড়ো। আমি শুনেছি, আপনারা অনেকেই পড়াশোনা করছেন এবং এরই মধ্যে চারজন আমপারা শুরু করেছেন। আলহামদু লিল্লাহ।