ঈমান বিধ্বংসী সবকিছু থেকে দূরে থাকা একজন মুমিনের জন্য অপরিহার্য

জুমার খুতবার ০৮.১০.২০২১

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম

মাল্টিপ্ল্যান রেডক্রিসেন্ট সিটি (কুশিয়ারা, পদ্মা ও সুরমা ভবন), মিরপুর জামে মসজিদের সম্মানিত ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা আহমাদুল্লাহ সাইয়াফ আল্লাহপাকের হামদ ও রসুল (সা)-এর প্রতি দরুদ ও সালাম পেশ করার পর ইসলামের মূলে কুঠারাঘাত করে এমন কিছু ফিতনা নিয়ে আলোচনা করেন। ইতোপূর্বে তিনি কাদিয়ানিদের বিষয়ে আলোচনা করে তাদেরকে কাফির আখ্যায়িত করে তাঁর মুসল্লিদেরকে সতর্ক করেন। গত দুই জুমা মেডিটেশনের নামে কোয়ান্টাম মেথডের ইসলামের আকিদা বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক বিভিন্ন বিষয়াবলি তিনি তাদের লিটারেচার থেকে তুলে ধরেন। আমি সাধারণত যে মসজিদে জুমা আদায় করি সেখানকার খতিব মহোদয়ের খুতবা ফেসবুকে দিয়ে থাকি। একটি বই প্রকাশনা নিয়ে (১৭ ফর্মা) আমি বর্তমানে সীমাহীন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছি এবং আগামী সপ্তাহটিও চলবে। তাই খুবই সংক্ষেপে খতিব মহোদয়ের আলোচনার সারসংক্ষেপটি তুলে ধরার চেষ্টা করবো ইনশা-আল্লাহ।

ইসলাম আল্লাহর পক্ষ থেকে একমাত্র দ্বীন এবং ইসলামের বাইরে কোনো কিছু গ্রহণ করা হবে না মর্মে আল্লাহর স্পষ্ট ঘোষণা। আন্তঃধর্ম সম্প্রীতির নামে সবাইকে নিয়ে একত্রে ধ্যান করা এবং সব ধর্মই ঠিক এমন আকিদা-বিশ্বাস ভ্রান্ত। সুরা কাফিরুনে আল্লাহপাক সকল ধর্মের সাথে মুসলমানদের সম্পর্কচ্ছেদেরই ঘোষণা প্রদান করেছেন। আমাদের বিশ্বাস হলো, ইসলাম একমাত্র হক এবং এর বাইরে সবই বাতিল। একজন মুসলমানের জন্য এমন বিশ্বাস পোষণ করা অপরিহার্য। খতিব মহোদয় বলেন, চিকিৎসার জন্য মেডিটেশন বা ধ্যান নিষিদ্ধ নয় তবে নিষিদ্ধ তখনই হবে যদি তাতে আকিদার খেলাপ কিছু থাকে। কোয়ান্টামের মূল শ্লোগান, আমার মনই সেরা, এর ওপর কিছু নেই, যা চাইবো তাই হবে- এমন বিশ্বাস তকদিরের ওপর আস্থা নষ্ট করে। আসলে আল্লাহই সর্বোচ্চ, তিনিই সব, তাঁর ওপরে কিছু নেই- এই আমাদের বিশ্বাস। মুসলমানদের মেডিটেশন হলো নামাজ ও কুরআন তেলাওয়াত। এর মাধ্যমে যে প্রশান্তি আসে, আর কোথাও তা খুঁজে পাওয়া যাবে না।

কোয়ান্টাম মেথডের প্রবক্তাকে ভবিষ্যৎদ্রষ্টা হিসেবে নিজেকে পরিচিত করাকে খতিব মহোদয় তীব্র ভাষায় সমালোচনা করেন। তিনি গায়েব জানেন এবং তাঁর অনেক ভবিষ্যৎ বাণী ফলে গেছে বলে যে দাবী সেটি কুরআন-হাদিসের পরিপন্থী বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আমাদের আকিদা হলো আল্লাহ ছাড়া কেউ গায়েব জানে না। এমনকি নবি মুহাম্মদ সা.ও জানেন না। অথচ তাদের বইয়ের শুরুতেই ভবিষ্যৎদ্রষ্টা হিসেবে দাবী করা কুফুরি বৈ আর কিছু নয়। হিজবুত তাওহিদ সম্পর্কেও তিনি সমালোচনা করেন। ওরা আলেম-উলামাকে সহ্য করে না এবং মনগড়া কথাবার্তা প্রচার করে। তিনি তাঁর মুসল্লিদেরকে ঈমান ধ্বংসকারী সকল অপতৎপরতা থেকে দূরে থাকার আহবান জানান।

প্রফেসর তোহুর আহমদ হিলালী

কলামিস্ট এবং সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল, কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ

এই বিভাগের আরো সংবাদ

Back to top button