আল্লাহ ক্ষমাশীল
তাঁর বান্দাকে আগুনে পোড়াতে চান না।
হ্যাঁ, কতো ক্ষমাশীল, তা আমার-আপনার ধারণার বাইরে। কোনো এক যুদ্ধে যুদ্ধবন্ধী এক মহিলার সন্তান তার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সে ছোট বাচ্চা পেলেই জড়িয়ে ধরে। এই দৃশ্য রসুলুল্লাহ সা.-এর দৃষ্টিতে আসলে সাহাবায়ে কেরামকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সন্তান আগুনে পড়ুক কোনো মা কি তা চাইবেন? সাহাবারা বলে উঠেন, কখনো না। তিনি বলেন, মা’র চেয়ে আমার আল্লাহ অনেক বেশি দয়ার্দ্র ও ক্ষমাশীল।
আল্লাহ তাঁর বান্দাকে আগুনে পোড়াতে চান না। তাঁর ক্ষমার দরজা অত্যন্ত প্রসারিত। তিনি বান্দাকে ক্ষমা করতে চান। পাশাপাশি সবার প্রতি তিনি ইনসাফ করবেন। কারো প্রতি জুলুমের প্রশ্নই উঠে না। তবে মজলুমের পক্ষে জালেমের বিরুদ্ধে বদলা গ্রহণ ইনসাফ প্রদর্শনেরই দাবি।
আল্লাহপাক জালেমকে অবকাশ দেন। এটি তাঁর দুর্বলতা নয়, উদারতা ও ক্ষমাশীলতা। তিনি বান্দার ফিরে আসাটা দেখতে চান এবং এজন্যই তাঁর সময়ক্ষেপণ। আখেরাতে জালেম সবচেয়ে অসহায় হয়ে পড়বে। তার সাহায্যার্থে কেউ এগিয়ে আসবে না বরং দুনিয়ার জীবনে তার সহযোগী সবাই পালাবে।
আসুন, নিজে সব ধরনের জুলুম থেকে বিরত হই এবং জালেম থেকে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি। এ দুনিয়ায় তিনি ক্ষমাশীল, কিন্তু আখেরাতে জালেমের জন্য তিনি হবেন অত্যন্ত কঠোর। তাঁর দয়া যেমন সীমাহীন ও অতুলনীয়, তেমনি শাস্তিও অকল্পনীয়।
হে আল্লাহ! জুলুম থেকে তওবা ও জালেমের সাথে সকল সংশ্রব ত্যাগ করার তৌফিক তুমি আমাদের দান করো। আমিন।