রহমত ও বরকতে পূর্ণ পবিত্র রমজান আমাদের সামনে। এই মাস আমাদের জন্য আল্লাহ তায়ালার বড়ো নেয়ামত। রমজানকে বরণ করার জন্য রসুলুল্লাহ সা. ও সাহাবায়ে কেরাম ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করতেন।
রজব মাস আসলে একটি দোয়া করার কথা শোনা যায়, এটি হাদিস না হলেও রসুলুল্লাহ সা. রমজানকে স্বাগত জানানোর জন্য রজব মাস থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতেন। রজব ও শাবান মাসে অধিক পরিমাণ রোজা রাখতেন। তিনি তাঁর উম্মতদেরও উদ্বুদ্ধ করতেন। শারীরিক ও মানসিক উভয়বিধ প্রস্তুতির জন্য তাগিদ দিতেন।
শাবান মাসের শেষের দিকে তিনি নিজে রোজা ছেড়ে দিতেন এবং রমজানে রোজা রাখতে যাতে দুর্বলতা না আসে সেজন্য তাঁর উম্মতদের মধ্য শাবান থেকে রোজা রাখতে নিরুৎসাহিত করতেন। কারণ তাঁর বিষয়টি ছিল স্বতন্ত্র।
রমজানের প্রস্তুতি বলতে আমরা বুঝি বেশি বেশি বাজার করা। যার ফলে স্বাভাবিকের তুলনায় রমজানে দ্রব্যমূল্য বাড়ে। এতে মানুষের কষ্ট হয়।
অন্তরে আল্লাহর ভয় সৃষ্টির মাধ্যমে সকল গুনাহ থেকে নিজেকে মুক্ত করে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদতে নিজেকে নিয়োজিত করতে হবে। নিজের মধ্যে যতো রকম আল্লাহর নাফরমানি রয়েছে তা দূর করার উপযুক্ত সময় রমজান মাস। নিজেকে সেভাবেই গড়ে তুলতে হবে। আল্লাহপাক তাঁর বান্দাকে ক্ষমা করতে চান।
ক্ষমা পাওয়ার উপযুক্ত সময় পবিত্র রমজান। সেসময়ে শয়তানকে শৃঙ্খলিত করা হয় এবং আল্লাহপাক তাঁর বান্দাদের উদারহস্তে নেকি প্রদান করতে থাকেন। তাই অন্তরে রমজানের কামনা এবং এখন থেকেই বেশি বেশি নেক কাজে আগ্রহী হতে হবে। রমজান মাস পরিশুদ্ধি অর্জনের মাস।
সুতরাং পরিশুদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে আমাদের সবাইকে সচেষ্ট হওয়া প্রয়োজন।