ক্ষমার বারতা নিয়ে হাজির হয়েছিল রমজানুল মুবারক। রসুলল্লাহ সা. বলেছেন, হতভাগা সে যে রমজান পেল অথচ নিজের গুনাহ মাফ করে নিতে পারলো না। তিনি আরো বলেন, রোজা রেখে যে মিথ্যা, পরনিন্দা ও পাপাচার ছাড়তে পারলো না তার রোজা রাখায় আল্লাহর কোনোই প্রয়োজন নেই। না খেয়ে থাকার নাম রোজা নয়। আল্লাহর নাফরমানি থেকে দূরে থাকার নামই রোজা।
রমজানে আমরা পানাহার থেকে বিরত থাকি। কেন থাকি? এককথায় এর জবাব, আল্লাহর নিষেধ। তেমনি আল্লাহর নিষেধ – মিথ্যা বলা, গিবত করা, হিংসা করা সবই হারাম ও কবিরা গুনাহ। এসব গুনাহ না ছাড়তে পারলে রোজা রাখা অর্থহীন হয়ে পড়বে। গিবত করতে খুব মজা লাগে। কিন্তু গিবতকারী জানে না, সে যার গিবত করছে তার নেকির পাল্লাকেই ভারি করছে অথচ সে নিজে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। নিরেট বোকা ছাড়া কেউ কারো গিবত করতে পারে না।
জাতীয়, সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে আমরা গিবত ছাড়তে পারছি না। এর কারণ হিংসা-বিদ্বেষ। হিংসুকের জন্য লাইলাতুল কদর নেই। প্রতিনিয়তই মৃত্যু দেখছি। অথচ আমরা কতো গাফেল! আগামী রমজান পাবো, কোনো নিশ্চয়তা নেই? সবকিছু রেখে শূন্য হাতে বিদায় নিতে হবে। সুযোগ ছিল নিজের গুনাহ মাফ করে নেয়ার।
আমরা এখন রমজানের শেষ দশকে। আল্লাহপাক ডেকে ডেকে বলছেন, কে আছ গুনাহ ক্ষমা করে নিতে, আমি তার গুনাহ ক্ষমা করবো। রাত জেগে আমরা আল্লাহর কাছে আহাজারি করবো। তারচেয়ে বড় কথা আমরা খালেছ দিলে গুনাহ থেকে তওবা করবো এবং দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হবো সেই গুনাহ আর না করার। এমনটি করতে পারলেই আমাদের রোজা ও লাইলাতুল কদরে জাগা ফলপ্রসূ হবে।
ক্ষমা ও উদারতার কোনো বিকল্প নেই। যে ক্ষমা করলো সে সফল হলো এবং আল্লাহর ক্ষমা লাভে সে ধন্য হবে। ক্ষমা করার জন্য দরকার উদারতা। আল্লাহর বাণী, যে মনের সংকীর্ণতা থেকে মুক্ত হলো সেই কল্যাণ লাভ করলো।
হে আল্লাহ! তুমি আমাদের মাঝে উদারতা দান করো। তোমার বান্দাদেরকে ক্ষমা করার মতো হিম্মত দান করো এবং বিনিময়ে তোমার ক্ষমতাপ্রাপ্তদের দলভুক্ত করো। আমিন ইয়া রব্বুল আলামিন।