” বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় লেখক বহুভাষাবিদ সৈয়দ মুজতবা আলী “
তিনি ১৯৩৪-৩৫ সালে মিশরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে মুসলিম ধর্মশাস্ত্র অধ্যয়ন করেন।
- © হারুন-অর-রশীদ (তথ্যসূত্র: মুজতবা সাহিত্যের রূপবৈচিত্র্য রচনাশৈলী- নুরুর রহমান খান, গুরুদেব ও শান্তিনিকেতন- সৈয়দ মুজতবা আলী-বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, চরণ ছুঁয়ে যাই- শংকর, আনন্দবাজার পত্রিকা ১৪-৯-২০১৯)
শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী ১৯০৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ ভারতে আসামের অন্তর্গত সিলেটের করিমগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা সৈয়দ সিকান্দর আলী ছিলেন সাব-রেজিস্ট্রার। পিতার নিবাস ছিল হবিগঞ্জের উত্তরসুর গ্রামে।
চাকরিসূত্রে পিতার কর্মস্থল পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নের পর মুজতবা আলী শেষপর্যন্ত শান্তিনিকেতন-এ ভর্তি হন এবং পাঁচ বছর অধ্যয়ন করে ১৯২৬ সালে তিনি স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। বিশ্বভারতীতে তিনি বহু ভাষা শেখার সুযোগ পান। সংস্কৃত, সাংখ্য, বেদান্ত, ইংরেজি, ফরাসি, জার্মান, ফারসি, আরবি, রুশ, ইতালিয়ান, উর্দু, হিন্দি ও গুজরাটি- এমন ১৮টি ভাষায় দখল ছিল তার।
গীতা তার সম্পূর্ণ মুখস্ত ছিল। এমনকী রবীন্দ্রনাথের গীতিবিতানও মুখস্ত ছিল তার। একবার এক অনুষ্ঠানে এক হিন্দু পুরোহিত গীতা সম্বন্ধে বক্তব্য রাখছিলেন। সেই সভায় সৈয়দ মুজতবা আলী উপস্থিত ছিলেন। দূর্ভাগ্যক্রমে সেই পুরোহিত যে সব রেফারেন্স দিচ্ছিলেন তাতে কিছু ভুল ছিল। সৈয়দ মুজতবা আলী অবশেষে দাঁড়িয়ে উনার সমস্ত রেফারেন্স মূল সংস্কৃত ভাষায় কি হবে তা চমৎকার ভাবে মুখস্থ বলে গেলেন। সমস্ত সভার দর্শক বিস্ময়ে হতবাক।
বিশ্বভারতীর পর তিনি আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯২৯ সালে ‘হুমবল্ট’ বৃত্তি নিয়ে তিনি জার্মানির বন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়ন করেন। সেখানে তিনি দর্শন বিভাগে তুলনামূলক ধর্মশাস্ত্রে গবেষণা করে ১৯৩২ সালে পিএইচডি লাভ করেন। তিনি ১৯৩৪-৩৫ সালে মিশরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে মুসলিম ধর্মশাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। এভাবে পড়ালেখায় তিনি প্রচুর সময় কাটিয়েছেন।
মুজতবা আলীর চাকরিজীবন শুরু হয় ১৯২৭ সালে কাবুলের কৃষিবিজ্ঞান কলেজে ফরাসি ও ইংরেজি ভাষার প্রভাষকরূপে। ১৯৩৫ সালে তিনি বরোদা কলেজে তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের অধ্যাপক হন। তিনি বগুড়া আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামের ইতিহাস বিভাগে খন্ডকালীন প্রভাষক হিসেবেও কিছুকাল দায়িত্ব পালন করেন। পরে পেশার পরিবর্তন করে মুজতবা আলী ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশন্সের সচিব ও অল ইন্ডিয়া রেডিওর কর্মকর্তা হন। সবশেষে তিনি বিশ্বভারতীর ইসলামের ইতিহাস বিভাগে যোগদান করেন।
শান্তিনিকেতনে অধ্যয়নকালেই হস্তলিখিত বিশ্বভারতী পত্রিকায় তার কয়েকটি লেখা প্রকাশিত হয়। তিনি সত্যপীর, রায়পিথোরা, ওমর খৈয়াম, টেকচাঁদ, প্রিয়দর্শী ইত্যাদি ছদ্মনামে আনন্দবাজার, দেশ, সত্যযুগ, শনিবারের চিঠি, বসুমতী, হিন্দুস্থান স্ট্যান্ডার্ড প্রভৃতি পত্র-পত্রিকায় কলাম লিখতেন। এ ছাড়া মোহাম্মদী, চতুরঙ্গ, মাতৃভূমি, কালান্তর, আল-ইসলাহ্ প্রভৃতি সাময়িক পত্রেরও তিনি নিয়মিত লেখক ছিলেন।
সৈয়দ মুজতবা আলী ‘দেশে-বিদেশে’ গ্রন্থখানি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই হইচই ফেলে দেন এবং পাঠকচিত্ত জয় করতে সক্ষম হন। কাবুলে অবস্থানের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও অন্তরঙ্গ উপলব্ধির ফসল এই গ্রন্থখানি।
সামগ্রিকভাবে তিনি উভয় বঙ্গে সমান জনপ্রিয় ও সমাদৃত লেখক ছিলেন। আন্তর্জাতিক চেতনায় সমৃদ্ধ এই লেখকের বিশ্বমানবিকতা, অসাম্প্রদায়িকতা এবং অনুকরণীয় রচনাশৈলী তাকে এই সম্মানের অধিকারী করেছে। তদুপরি তিনি যে নৈপুণ্যের সঙ্গে বিদেশি চরিত্র ও আবহ বাংলা সাহিত্যে এনেছেন তাও তুলনাহীন।
মুজতবা আলী বহুদেশ ভ্রমণ করেছেন, কর্মক্ষেত্রের পরিবর্তন করেছেন এবং বহুজনের সান্নিধ্য লাভ করেছেন। তাই তার লেখায় সে প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যায়। তার রম্যবিষয়ক ছোট ছোট রচনা পাঠকদের চিত্তবিনোদন ও অনাবিল আনন্দদানে তুলনাহীন।
স্বাধীনচেতা মুজতবা আলী সারা জীবন এক ভবঘুরে জীবনযাপন করলেন। কোথাও স্থায়ীভাবে থাকলেন না। স্বাভাবিক জীবনযাপন করলেন না। পাকিস্তানের কট্টরপন্থীরা তাকে ‘ভারতের দালাল’ অপবাদ দিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছিল। কলকাতায় জনপ্রিয়তা, সুনাম ও পুরস্কার সবই পেলেন। তবে কলকাতার রক্ষণশীল লেখক সমাজ তাকে ঈর্ষা করত ও বলে বেড়াত যে, ‘মুজতবা আলীর ধর্ম নিরপেক্ষ উদার দৃষ্টিভঙ্গি একটা আইওয়াশ, আসলে আলী একজন ধুরন্ধর পাকিস্তানি এজেন্ট।’ এক দুর্বল মুহূর্তে দুঃখ করে তিনি তার গুণগ্রাহী বিখ্যাত লেখক শংকরকে বলেছিলেন, ‘এক একটা লোক থাকে যে সব জায়গায় ছন্দপতন ঘটায়, আমি বোধহয় সেই রকম লোক।’
‘বই কিনে কেউ কখনও দেউলিয়া হয় না’ এই ডায়লগটি কিন্তু সৈয়দ মুজতবা আলীর। বাংলা সাহিত্যে উল্লেখযোগ্য অবদানের কারণে ১৯৪৯ সালে তিনি অর্জন করেন নরসিং দাস পুরস্কার। এ ছাড়া ১৯৬১ সালে অর্জন করেন আনন্দ পুরস্কার।
পাণ্ডিত্য আর হৃদয়বেত্তার সঠিক আনুপাতিক মিশেলে যিনি হাস্যরসকে বাংলা সাহিত্যে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী, কিছুটা প্রতিষ্ঠান বিরোধী, বর্ণময় এই মানুষটির জীবন পুরোপুরি রবীন্দ্ররসে জারিত ছিল। আলি সাহেব নিজেই লিখেছেন ‘এ আমি নিশ্চয় করে জানি যে, আমার মনোজগৎ রবীন্দ্রনাথের গড়া…’।
এই বিশিষ্ট মানুষটি শান্তিনিকেতনে ছাত্র হিসেবে আসেন ১৯২১ সালে। তখন মুসলিম ছাত্র ভর্তির ব্যাপারে অনেক আশ্রমিকেরই আপত্তি ছিল। কিন্তু জহুরির চোখ মহামূল্যবান রত্নটিকে চিনতে ভুল করেনি। রবীন্দ্রনাথের ইচ্ছেতেই সব বাধা পেরিয়ে অবশেষে আশ্রমিকের তকমা জুটলো তাঁর। গুরুদেবের সঙ্গে মুজতবা আলির নিম্নোক্ত আলাপচারিতায় সেই সঙ্কটের আভাস কিছুটা পাওয়া যায় –
‘বলতে পারিস সেই মহাপুরুষ কবে আসবেন কাঁচি হাতে করে?
আমি তো অবাক। মহাপুরুষ তো আসেন ভগবানের বাণী নিয়ে, অথবা শঙ্খ, চক্র, গদা, পদ্ম নিয়ে। কাঁচি হাতে করে?
হাঁ হাঁ কাঁচি নিয়ে। সেই কাঁচি দিয়ে সামনের দাড়ি ছেঁটে দেবেন, পেছনের টিকি কেটে দেবেন। সব চুরমার করে একাকার করে দেবেন। হিন্দু-মুসলমান আর কতদিন আলাদা হয়ে থাকবে?’
ভাবলে অবাক হতে হয় যে, এই কথোপকথনের মূল ভাবনাটি আজ প্রায় শতবর্ষ পেরিয়ে এসেও একই রকম প্রাসঙ্গিক! রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতেই আলিসাহেব তাঁর অনন্যতার নজিরটি রেখেছিলেন। গুরুদেব জানতে চাইলেন ‘কি পড়তে চাও?’ ঝটপট জবাব এসেছিল ‘তা তো ঠিক জানিনে, তবে কোনও একটা জিনিস খুব ভাল করে শিখতে চাই’। যদিও গুরুদেবের দিক থেকে উৎসাহ পেলেন নানাকিছু শিখবার। তাঁর নিজের কথায় ‘কাজেই ঠিক করলুম, অনেক কিছু শিখতে হবে। রবীন্দ্রনাথের সাহচর্য, আশ্রমের শিক্ষা আর বহুমুখী কর্মধারায় অবগাহন করে যেন নবজন্ম হল মুজতবার!
প্রথম প্রথম আশ্রমের অন্যরকম পরিবেশ জল, জঙ্গল, পাহাড়ের দেশ সিলেট থেকে আসা কিশোরটির ভাল লাগছিল না। তবে কিছুদিনের মধ্যেই কিন্তু সেই শান্তিনিকেতনই হয়ে উঠল তাঁর অবাধ বিচরণভূমি। ‘বিশ্বভারতী সম্মিলনী’র নবম অধিবেশনে (১৯২২) সৈয়দ মুজতবা আলী ঈদ উৎসব নিয়ে একটি প্রবন্ধ পড়েন। সেদিনের সভার সভাপতি স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ সেই লেখার ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন। মূলত, গুরুদেবের উৎসাহেই তাঁর ভাবনার স্রোত বিষয় থেকে বিষয়ান্তরে ছুটে বেড়াতে লাগল।
‘বিশ্বভারতীর সেবার জন্য যদি আমাকে প্রয়োজন হয় তবে ডাকলেই আমি আসব। যা দেবেন হাত পেতে নেব’ রবীন্দ্রনাথকে কথা দিয়েছিলেন তিনি। এসেছিলেন ফিরে ১৯৫৭ সালে। ১৯৬১-র ১৮ অাগস্ট ইসলামের ইতিহাস পড়ানোর কাজে যোগ দিলেন। মুজতবা আলি সে সময় খ্যাতির মধ্য গগনে, ফলে বিড়ম্বনাও সইতে হয়েছিল বিস্তর। শান্তিনিকেতন ছেড়ে যেতে চাননি। তারপরও ১৯৬৫ সালে তাকে চলে যেতে হয়েছিলো।
আলী সাহেবের কথা লিখতে গেলে তাঁর পাণ্ডিত্য, রসবোধ, বাগবৈদগ্ধ্যের কথাই আলোচিত হয় বেশির ভাগ সময়ে। মানুষ অবশ্য এতেই বেশি প্রভাবিত হন। মনেও রাখেন মজার মজার সব ঘটনা। কিন্তু হাসি-মজায় মাতিয়ে রাখা মানুষটি ছিলেন অত্যন্ত দৃঢ়চেতা। যা ছাত্রজীবন থেকেই তাঁর সম্পদ।
বগুড়া কলেজের অধ্যক্ষ থাকাকালীন একবার এক সভায় বললেন, রবীন্দ্রনাথ ইকবালের চেয়ে অনেক বড় কবি। তা নিয়ে শুরু হল প্রবল বিতণ্ডা। মৌলবাদী ছাত্ররা প্রবল ক্ষিপ্ত। মারধর খাওয়ার আশঙ্কা। আলী সাহেবের মেজভাই সৈয়দ মুর্তাজা আলি বগুড়া জেলার জেলাশাসক তখন। তাঁর বাড়িতে আশ্রয় নেন তিনি। এরপর বগুড়া কলেজের অধ্যক্ষের পদ ছেড়ে দেন।
আর এক বারের ঘটনা শান্তিনিকেতনে। ৭ই পৌষের উপাসনায় ছাতিমতলায় তিনি আচার্য হয়েছিলেন। শান্তিনিকেতনের রক্ষণশীলদের কাছে সে জন্য তাঁকে কটূক্তি শুনতে হয়। যদিও তাঁর এই ভাবনাকে স্বাগত জানানোর মতো উদারচিত্ত লোকের অভাব ছিল না।
সৈয়দ মুজতবা আলীর আর্থিক নিরাপত্তা বলতে যা বোঝায় সেটা কখনোই ছিল না। তিনি কখনও চাকরি করেছেন, কখনো লিখে টাকা আয় করেছেন। অন্নদাশঙ্কর রায় এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘মুজতবা আলী শান্তিনিকেতনে সস্ত্রীক চাকুরি চেয়েছিলেন। কিন্তু আর্থিক কারণে তখন তাঁদের চাকুরি দেওয়া সম্ভব হয়নি। আনন্দবাজার গ্রুপও তাঁকে চাকুরি দেননি। পরে, শান্তিনিকেতনে মুজতবার চাকুরি হয়”। শুধুমাত্র কলমকে ভরসা করে ১৯৫৭ থেকে ১৯৬১ সালের অগাস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত, হালভাঙা নৌকোর মত কোনোক্রমে নিজেকে চালিয়েছেন।
অনেকেই মনে করেন; ভয়ংকর অলসতার কারণে তিনি নিজকে নিজেই ঠকিয়েছেন। সুনীতি বাবু বলেছেন, “মুজতবা আলী তুলনামূলক ধর্মশাস্ত্রের প্রচ- গবেষক হতে পারতেন, তুলনামূলক ভাষাতত্ত্বে সার্থক অন্বেষণ চালাতে পারতেন, ভারতীয় ইতিহাসের অনুদ্ঘাটিত দিক উন্মোচন করতে পারতেন, কিন্তু কিছুই করেন নি। শুধু ব্যঙ্গ রসিকতায় নির্বাসন দিয়ে নিজেকে নিঃশেষ করলেন।” ভীষণ অগোছালো ছিলেন তিনি। মুজতবা নিজেই লিখেছেন ‘হাঁড়িতে ভাত থাকলে সাঁওতাল কাজে যায় না, আর আমার ড্রয়ারে টাকা থাকলে আমি লিখি না।’ তারপরেও বাংলা সাহিত্যে সৈয়দ মুজতবা আলীর উপমা একমাত্র তিনিই।
বাংলা ভাষায় তিনি সরস-মার্জিত-বুদ্ধিদীপ্ত সাহিত্যধারার প্রবর্তক। ব্যঙ্গ ও রঙ্গ-রসিকতায় তার রচনা প্রদীপ্ত। অন্তত দশটি ভাষায় দক্ষতা অর্জনকারি এই বিরল-প্রতিভা ভাষাতত্ত্ব ও তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বে অসাধারণ পান্ডিত্যের পরিচয় রেখে গেছেন।
তিনি জীবনের করুণ দিকগুলো সুস্পষ্টভাবে জানতেন বলেই জীবনের হাস্যরসের দিকগুলো নিপুনভাবে উপস্থাপন করতে পেরেছিলেন। মূলত, জীবনের গভীর থেকে জীবনকে পর্যবেক্ষেণের অর্ন্তদৃষ্টি ছিল বলেই তাঁর পরিবেশিত হাস্যরসের মধ্যে পরিমিত জীবনময়তা ছিল।
১৯৭৪ এর ১১ই ফেব্রুয়ারি ঢাকাতে তিনি চিরনিদ্রায় চলে যান! যতদিন বাংলা সাহিত্য থাকবে, ততোদিন তিনি তাঁর সাহিত্যকর্মের মধ্যদিয়ে পাঠকদের কাছে বেঁচে থাকবেন।