Site icon World 24 News Network

মা বলেন- ‘আমি পারবো’।

সংগৃহীত

হ্যাঁ, এ কথার মধ্যে সত্যতা রয়েছে। একটা শিশুর মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তোলা মা’র দায়িত্ব। আত্মবিশ্বাস উন্নতির সোপান। নিজের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস না থাকলে সাফল্যলাভ সম্ভব নয়।

স্কুল জীবনে ইসমাইল হোসেন সিরাজীর লেখা ‘আত্মবিশ্বাস ও জাতীয় প্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক প্রবন্ধের একটি বাক্য এখনো মনে পড়ে- ‘যে মাঝি তুফানে নৌকা চালায়, আর যে মাঝি নিথর-নিস্তব্ধ পানিতে নৌকা চালায়; উভয়ের হাল ও বৈঠা এক হলেও তাদের বিশ্বাসে রয়েছে বিস্তর পার্থক্য’। আত্মবিশ্বাসই তাকে ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ নদীতে নৌকাচালনায় সাহস জুগিয়েছে।

আমাদের সমাজে কর্মবিমুখ এমন অনেকে আছে যারা ভাগ্যের ওপর দোষারোপ করে সান্ত্বনা খুঁজে। অথচ যে জাতি চেষ্টা করে নিজের অবস্থানের পরিবর্তন না করে আল্লাহপাক তাদের অবস্থার পরিবর্তন করেন না।

প্রকৃতির রাজ্যে আমরা দেখি যারা যোগ্য বা শক্তিমান তারাই টিকে থাকে। আল্লাহপাক প্রত্যেক মানুষের মধ্যে ন্যূনতম কিছু গুণ ও যোগ্যতা দিয়ে রেখেছেন। চেষ্টা- সাধনা করলে সে সফল হবে। এ প্রসঙ্গে ভলটেয়ারের একটি উক্তি স্মরণযোগ্য- ‘প্রতিভা বলে কোনো জিনিস নেই- পরিশ্রম করো, সাধনা করো প্রতিভাকে অগ্রাহ্য করতে পারবে’।

তিনি আরো বলেন- ‘লোকে বলে সব মানুষ কবি হতে পারে না, বক্তা হওয়াও ইশ্বরের গুণ- এ কথা আমি বিশ্বাস করি না’। মনীষীদের কথা ষোল আনা সত্য, এ কথা আমি বলি না। আংশিক হলেও সত্য, যা মানুষকে উদ্দীপ্ত করে।

আমি এটা বিশ্বাস করি, আল্লাহপাক কারো শ্রমকে বৃথা যেতে দেন না। তাই জীবনে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করে কেউ যদি নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে চেষ্টা-সাধনা করে, সে সফলকাম হবে। এটাই আল্লাহর রীতি। জীবনে যারা প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে তাদের ইতিহাস তাই বলে।

আমাদের তরুণ সমাজ আলস্য ও হতাশা ঝেড়ে কর্মতৎপর হোক এবং নিজ, পরিবার ও সমাজের কল্যাণ বয়ে আনুক, তাদের প্রতি এই আমাদের আহবান।

Exit mobile version