Site icon World 24 News Network

ঘরের বাসিন্দার জন্য তার ঘর নিরাপদ (পর্ব-১)

সোনার মদিনার সবুজ গম্বুজ

মুহাম্মদ সা. ছিলেন সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী। তাঁর জাতির কাছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি, জাতির পক্ষ থেকে আল আমিন ও আস সাদিক খেতাবপ্রাপ্ত।

কিন্তু নবুয়ত লাভের পর যখনই তিনি মানুষকে ইসলামের দাওয়াত প্রদান করেন তখনই তাঁর সাথে শত্রুতা শুরু হয়ে যায়। এটা শুধু তাঁর সাথে নয়, সকল নবি-রসুলের সাথেই হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে নবি-রসুলদের উত্তরাধিকার ও নমরুদ-ফেরাউনদের উত্তরাধিকারের মাঝে; এটা চিরন্তন, কেয়ামত পর্যন্ত। সকল নবি-রসুলের দায়িত্ব ছিল অভিন্ন ‘দীন প্রতিষ্ঠিত করো এবং এতে অনৈক্য সৃষ্টি করো না’- সুরা আশ শূরা ১৩।

নবি- রসুলের অনুসারিদেরও একই দায়িত্ব। পক্ষান্তরে সকল যুগের স্বৈরশাসকরা এই একই প্রশ্নে নবি-রসুলদের প্রচণ্ড বিরোধীতা করেছে এবং কেয়ামত পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে। দাওয়াত দানের সাথে সাথে রসুলুল্লাহ সা.-এর বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠে, তিনি যা নন তাঁকে তাই বলা হয়েছে। তাঁর ও তাঁর সাহাবিদের ওপর চলে অবর্ণনীয় নির্যাতন। টিকতে না পেরে অনেককে আবিসিনিয়ায় পাঠিয়ে দেয়া হয় এবং একটি পর্যায়ে আল্লাহর নির্দেশে তিনি মদিনায় হিজরত করেন।

জুলুম- নির্যাতনে জর্জরিত সাহাবায়ে কেরাম রা. বলেন, ইয়া রসুলুল্লাহ! আমরা তো আর সহ্য করতে পারি না। আল্লাহর সাহায্য কবে আসবে? জবাবে মুহাম্মদ সা. বলেন, বিপদ আর কী দেখেছ? অতীতে যারাই ইমান এনেছে তাদের কাউকে করাতে দ্বিখণ্ডিত করা হয়েছে, কারো শরীর থেকে গোশত খসিয়ে নিয়েছে, কিন্তু কেউ ইমান ত্যাগ করেনি।

সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন একজন ষোড়শী স্বর্ণালঙ্কারসহ সানা থেকে হাজরা মাউত একাকী হেঁটে যাবে তাকে আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে ভয় করতে হবে না।

(চলবে)

Exit mobile version