ব্যাচেলররা রান্না করতে চায় না, আবার রান্নার তেমন সময় পায় না এবং পুষ্টিকর খাবার নিয়েও তাদের তেমন কোন ভাবনা নেই। এই কারণে তারা নানান সমস্যায় থাকে। জেনে নিন ব্যাচেলরদের সহজ রান্নার কিছু টিপস –
ডিম : পুষ্টিকর খাবার ডিম। এটি রান্না কিংবা পোচ করা খুবই সহজ। একটি ডিম পোচ করে তা দুটি পাউরুটির ভেতরে রেখে স্যান্ডউইচ বানাতে পারেন। এছাড়া সেদ্ধ করেও সহজে ডিম খাওয়ার উপযোগী করা যায়।
ফ্রুট সালাদ : টিভি দেখার সময় অস্বাস্থ্যকর খাবার বাদ দিয়ে ফলমূল খাওয়া অভ্যাস করুন। এজন্য অল্প করে বিভিন্ন ধরনের ফলমূল কিনুন। তা পরিষ্কার করে ধুয়ে তারপর কেটে একটি বাটিতে রাখুন। এছাড়া স্বাদ বাড়ানোর জন্য সামান্য লবণ, মসলা ইত্যাদি দিতে পারেন।
ব্লেন্ডার/মিক্সার ব্যবহার করুন : ফলমূল জুস করে খাওয়ার জন্য ব্লেন্ডার/মিক্সার খুবই উপযোগী। তাই কিছু খরচ করে হলেও একটি ব্লেন্ডার বা মিক্সার কিনে নিন। এতে পরিমাণমতো ফলমূল দিয়ে মুহূর্তেই বানিয়ে ফেলুন মজাদার জুস। এটি বাজারের অস্বাস্থ্যকর পানীয় বাদ দিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত পানীয় গ্রহণে উৎসাহিত করবে।
ইনস্ট্যান্ট নুডলস : ইনস্ট্যান্ট নুডলস অনেক ব্যাচেলরেরই প্রিয়। তবে এতে শুধু নুডলস না রেখে ব্যবহার করুন কিছু সবজি। এছাড়া ডিম ও অন্য আমিষও দিতে পারেন।
ফ্রিজ ব্যবহার করুন : আপনার যদি অল্প খাবারের চাহিদা থাকে তাহলে কিছু কিছু খাবার ফ্রিজে রাখুন। ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন ঝোল তরকারিসহ বেশ কিছু খাবার। এগুলো পরবর্তীতে সম্পূর্ণ গরম করে খাওয়া যায়।
কাটা সবজি : অনেকেই সবজি বা ফলমূল কেটে খাওয়ার ভয়ে তা খাওয়াই ছেড়ে দেন। এক্ষেত্রে তাদের জন্য পরামর্শ হলো সুপারমার্কেটে কাটা সবজি বা ফলমূলের খোঁজ করুন। এটি অর্থ, সময় ও পরিশ্রম বাঁচাবে।
যথাযথ পাত্র : মানসম্মত রান্নার জন্য প্রয়োজন মানসম্মত পাত্র। এজন্য কিছুটা খরচ হলেও মানসম্মত (একেবারে শস্তা নয়) পাত্র কিনে নিন। এছাড়া কাঠের চামচসহ প্রয়োজনীয় কিছু সামগ্রী রাখুন।