Site icon World 24 News Network

ইলন মাস্কের নয়, চাঁদে আছড়ে পড়তে যাচ্ছে চীনা ‘মহাকাশযান’

সংগৃহীত

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এ বছরের মার্চে চাঁদে বিধ্বস্ত হওয়ার পথে থাকা বস্তুটি মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের মহাকাশ কম্পানি স্পেসএক্সের উৎক্ষেপণ করা রকেটের অংশ নয়। আগে তাঁরা মনে করেছিলেন, চাঁদে ইলন মাস্কের মহাকাশ কম্পানি স্পেসএক্সের উৎক্ষেপণ করা রকেটের অংশ আছড়ে পড়তে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা নিজেদের অবস্থান থেকে এবার সরে আসলেন।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, এটি সম্ভবত ২০১৪ সালে চাঁদে মিশনের জন্য পাঠানো চীনা মহাকাশযানের অংশ।

চাঁদে আছড়ে পড়ার পরই এটি বিস্ফোরিত হবে। তবে চাঁদের সঙ্গে এটির সংঘর্ষের প্রভাব খুবই সামান্য হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা গত জানুয়ারিতে প্রথমে জানান, এ বছরের ৪ মার্চ চাঁদে বিধ্বস্ত হওয়ার পথে রয়েছে একটি মহাকাশযানের টুকরো।

মহাকাশে মিশন শেষে রেখে দেওয়া যেসব যন্ত্রপাতি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আর ফিরে আসে না, তাকে মহাকাশের আবর্জনা বা স্পেস জাঙ্ক বলা হয়।

তথ্য বিশ্লেষক বিল গ্রে প্রথমে চিহ্নিত করেছিলেন, ইলন মাস্কের মহাকাশ অনুসন্ধান অভিযান স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ বুস্টারের অংশ এটি। যা ২০১৫ সালে পাঠানো হয়েছিল। এ ব্যাপারে সাংবাদিক এরিক বার্গার প্রতিবেদনও করেছেন। তবে, পরে জানা গেল, ইলন মাস্কের কম্পানির পাঠানো যন্ত্রের অংশ আছড়ে পড়তে যাচ্ছে না।

এবার বিল গ্রে বলেছেন, তিনি আগে একটি ভুল করেছেন। ২০১৪ সালের অক্টোবরে চাঁদে পাঠানো চীনের চ্যাং’ই ৫-টি১ মহাকাশযানের অংশ আসলে চাঁদে আছড়ে পড়তে যাওয়ার পথে রয়েছে।

তাঁর সঙ্গে এবার একমত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক হার্ভার্ড-স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্স-এর অধ্যাপক জনাথন ম্যাকডোয়েল। তিনি বলেছেন, পৃথিবী থেকে বহু দূরের মহাকাশে ধ্বংসাবশেষ শনাক্ত করার ক্ষেত্রে অনেক ‘অভ্যন্তরীণ অনিশ্চয়তা’ রয়েছে। সে কারণে কিছুটা ভুলত্রুটি হয়।

তিনি আরো বলেছেন, মহাকাশে ধ্বংসাবশেষ ট্র্যাকিংয়ের জন্য সীমিত সরঞ্জাম রয়েছে। স্বল্প সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবকদের ওপর নির্ভর করতে হয়; যারা তাদের নিজেদের বের করা সময়ে এটি করেন। সে কারণে তথ্য বারবার যাচাইয়ের সুযোগও কম থাকে।

অধ্যাপক জনাথন বলেছেন, তিনি ৮০ শতাংশ নিশ্চিত যে, চাঁদে আঘাত হানতে যাওয়া বস্তুটি ২০১৪ সালে চীনের পাঠানো মহাকাশযানেরই অংশ।

Exit mobile version