ঘরের বাসিন্দার জন্য তার ঘর নিরাপদ (শেষ পর্ব)
মিথ্যা সাক্ষ্যদান শিরকের সমতূল্য
আমাদের আদালত মিথ্যার ওপরেই চলে। আদালত মানে যেখানে আদল ও ইনসাাফ করা হয়। একজন মুসলিম সত্য সাক্ষ্য যেমন গোপন করতে পারে না তেমনি মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া তার পক্ষে কখনোই সম্ভব নয়। মিথ্যা সাক্ষ্যদান শিরকের সমতূল্য বড়ো গুনাহ। বর্তমানে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে মূলত মানুষের অধিকার হরণ করা হচ্ছে।
আমরা নিজেদের ভাগ্যের ফয়সালা আমাদের শত্রুদের হাতেই তুলে দিয়েছি। মতপার্থক্য থাকতেই পারে এবং সেই মতপার্থক্য দূর করার জন্য নানা পন্থাও রয়েছে। মুসলমানদের বিভিন্ন দলের মাঝে বিরোধ হলে পরস্পর সমঝোতা করার তাগিদ স্বয়ং আল্লাহপাকই দিয়েছেন।
বিবদামান দলগুলির মাঝে সমঝোতা করে দেয়ার জন্য কাউকে না কাউকে উদ্যোগ নেয়ার কথাও বলেছেন (সুরা হুজুরাত)। রাজনীতির ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি ও সমঝোতার অভাবে কী পরিণতি হয় আমরা আফগানিস্তান, ইরাক, লিবিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহে চাক্ষুস দেখছি।
এসব দুনিয়ার শাস্তি আখেরাতে যে কোনো প্রাপ্তি নেই (আল্লাহকে আংশিক মানার পরিণতি দুনিয়ার জীবনে জিল্লতি আর আখেরাতে রয়েছে ভয়াবহ শাস্তি) আল্লাহ আগেই বলে রেখেছেন। কে কার কথা শোনে? অনর্গল মিথা বলার কারণে আমরা চরম আস্থাহীনতায় ভুগছি। কেউ কাউকে বিশ্বাস করে না। মিথ্যাবলা ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা রাজনীতিক কৌশল হিসেবে মনে করা হয়। ঘনঘন দলবদল এবং নতুন নতুন দল ও জোটের সৃষ্টি সবই নাকি প্রতিপক্ষকে হারানোর কৌশল এবং বলা হয় রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। বুঝলাম, সবই ঠিক কিন্তু পৃথিবীতে এত মিথ্যা কথা কেউ বলে?
কোনো দেশে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহ এতটা কি বিতর্কিত? হে আল্লাহ! তুমি আমাদের মাঝে উপলব্ধি দান করো। আমাদের সন্তান-সন্ততিদের জন্য দেশটাকে নিরাপদ করে দাও। আমিন।