Site icon World 24 News Network

ঘরের বাসিন্দার জন্য তার ঘর নিরাপদ (পর্ব-৪)

মসজিদে নববী মদিনা মুনাওয়ারা

ইসলামে জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় অর্থাৎ কাউকে নিজের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যদানে বাধ্য করা বৈধ নয়।

জনৈক মহিলা রসুলুল্লাহ সা.-এর কাছে এসে জেনার শাস্তি তার ওপর প্রয়োগ করার জন্য নিবেদন করে। আসলে এসব মানুষগুলো আখেরাতকে এতটা ভয় পেয়েছিল যাতে দুনিয়ার জীবনটা তার কাছে একেবারে তুচ্ছ মনে হয়েছিল। পুরুষটাকে ডেকে আনা হলে সে অস্বীকার করে।

যেহেতু চারজন সাক্ষী ছিল না সেহেতু পুরুষটাকে ছেড়ে দেয়া হয় এবং মহিলার ওপর দণ্ড কার্যকর করা হয়। ইসলামে বিচারব্যবস্থা হলো স্বেচ্ছায় অপরাধের স্বীকারোক্তি অথবা দুজন ন্যায়বান সাক্ষীর (জেনার ক্ষেত্রে চারজন) সাক্ষ্যদানের ভিত্তিতে। কেউ কোনো মামলা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সংস্থা বা বিচারকের কাছে পেশ করলে তখন রাষ্ট্রের দায়িত্ব হয়ে পড়ে ন্যায়বিচার করা। কারো অপরাধ গোপন রাখাকে সওয়াবের কাজ বলা হয়েছে।

হাদিসের ভাষা হলো, যে তার ভাইয়ের দোষ গোপন রাখবে আল্লাহ কেয়ামতের দিন তার দোষ গোপন রাখবেন। কোনো অপরাধী তার অপরাধ গোপন রেখে আল্লাহর কাছে তওবা করে পরিশুদ্ধ হতে পারে। শাস্তিদানের জন্য ইসলামে কোনো তাড়াহুড়ো নেই। ইসলামে মটিভিশন খুব প্রশংসনীয় অর্থাৎ আখেরাতে শাস্তির ভিত্তিতে ইসলাম তার অনুসারীদের পরিশুদ্ধ করতে চায়।

আল্লাহপাক সুরা হুজুরাতে সুস্পষ্টভাবে ধারণা-অনুমান ও দোষ অন্বেষণ করতে নিষেধ করেছেন। অথচ আমাদের সমাজে এগুলো সব মামুলি বিষয় হয়ে পড়েছে। কত নিরীহ মানুষ যে নানাভাবে জুলুমের মুখোমুখি হয় তার হিসাব মেলানো ভার।

Exit mobile version