Site icon World 24 News Network

বিশ্বজয়ী অন্ধ হাফেজকে চোখ দিতে চান আসাদুল

মিশরে আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের অন্ধ হাফেজ তানভির হোসাইন তৃতীয় হওয়ার একটি প্রতিবেদন গনমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর তা দেখে স্বপ্রনদিত হয়ে তাকে নিজের একটি চোখ উপহার দিতে চান মোহাম্মদ আসাদুল হাসান (৫২)‌ নামের এক ব্যক্তি।‌

তিনি তার ফেসবুক টাইমলাইনে লিখেন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হাফেজ তানভির আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগীতায় ১ম ও ৩য় স্হান হওয়ার কারণে উনাকে আমি আমার একটি চোখ উপহার দিতে চাই, প্লিজ কেউ উনার সাথে আমাকে যোগাযোগের ব্যবস্হা করে দিতে পারবেন?

আসাদুল হাসান ও অন্ধ হাফেজ তানভির হোসাইন এর প্রধান শিক্ষক শাইখ ক্বারী নেসার – আন- নাসিরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে আসাদুল হাসান বলেন, আমি মরণোত্তর চোখ দান করার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছিলাম। পরে সিদ্ধান্ত নেই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হাফেজ তানভীর হোসাইনকে আমার একটি চোখ উপহার দেব। উনি যতজনকে কোরআন শিক্ষা দেবেন ধারাবাহিকভাবে উনার ছাত্ররাও অন্যদের শিক্ষা দিয়ে যাবেন। এতে কেয়ামত পর্যন্ত আমি সোওয়াব পেতে থাকব। সেই উছিলায় মহান রব আমাকে নাজাতের ব্যবস্থা করবেন আশা করি।

অন্ধ হাফেজ তানভির এর প্রধান শিক্ষক শাইখ ক্বারী নেসার আন-নাসিরী আরটিভিকে বলেন, বিশ্বজয়ী হাফেজ তানভির জন্মান্ধ। আসাদুল হাসান নামের জৈনিক ব্যাক্তির‌ উপহার দেওয়া চোখে আমার ছাত্র তানভীর হোসাইন পৃথিবীর আলো দেখতে পারবে জেনে ভালো লাগছে। এমন‌ একটি মানবিক কাজ সম্পূর্ণ করতে পারি এর থেকে খুশির খবর কি আর আছে?

গতকাল সন্ধ্যায় আসাদুল হাসান আবারো লাইভে এসে তার প্রতিঙ্গার কথা জানিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার ব্যক্তিগত আইডি থেকে দেওয়া লাইভটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।

আসাদুল হাসান একজন স্বেচ্ছাসেবী রক্তদাতা। জেলার সেচ্ছাসেবীদের কাছে তিনি ‘নানা ভাই’ নামে পরিচিত। যুবক বয়স থেকেই নিয়মিত রক্তদান করেন আসাদুল। ইতোমধ্যে তিনি নিজে ৭৩ বার রক্তদান করেছেন।

তিনি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার নারান্দী ইউনিয়নের সনমানিয়া গ্রামের মরহুম আয়ুব আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি শহরের নগুয়া এলাকার বাসিন্দা।

Exit mobile version