২০২২ সালের শীর্ষ প্রভাবশালী মুসলিম ব্যক্তিত্ব যাঁরা

‘দ্য রয়েল ইসলামিক স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সেন্টার’

২০২২ সালের শীর্ষ প্রভাবশালী পাঁচ শ মুসলিম ব্যক্তিত্বের তালিকা প্রকাশ করেছে আম্মানভিত্তিক ‘দ্য রয়েল ইসলামিক স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সেন্টার’। সংস্থাটির পরিচালিত ‘দ্য মুসলিম ৫০০’ ওয়েবসাইটে তালিকাটি প্রকাশ করা হয়েছে। তারা ২০০৯ সাল থেকে প্রতিবছর নিয়মিত প্রভাবশালী মুসলিম ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করে আসছে।

‘দ্য রয়েল ইসলামিক স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সেন্টার’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘প্রিন্স আল ওয়ালিদ বিন তালাল সেন্টার ফর মুসলিম-ক্রিশ্চিয়ান আন্ডারস্ট্যান্ডিং’য়ের সহযোগিতায় তালিকাটি প্রকাশ করে থাকে।

এ বছরের প্রভাবশালী মুসলিমদের তালিকার শীর্ষে আছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হাম্মাদ, সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ, ইরানের ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খমিনি, রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান, জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ, মুফতি তকি উসমানি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, বিশ্ববরেণ্য আলেম সালমান আওদা, ড. ইউসুফ আল-কারজাভি প্রমুখ।

এ বছর প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকার শীর্ষে আছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হাম্মাদ আল-থানি। তিনি প্রয়াত আমির হাম্মাদ বিন খলিফার চতুর্থ ছেলে। তিনি ২০১৩ সাল থেকে কাতারের আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ তালে তাঁর বড় ভাই শেখ জাসিম সিংহাসনের দাবি থেকে সরে এলে তিনি পিতার উত্তরাধিকারী মনোনীত হন।

দ্বিতীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি মনোনীত হয়েছেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ। ২০১৫ তারিখে তাঁর সত্ভাই বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজের স্থলাভিষিক্ত হন। বাদশাহ হওয়ার আগে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও রিয়াদ প্রদেশের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তৃতীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি হলেন আয়াতুল্লাহ সৈয়দ আলী হোসেইনি খমিনি। তিনি ইরানের শিয়া সম্প্রদায়ের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা। সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা হওয়ার আগে ১৯৮১ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত তিনি ইরানের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

চতুর্থ স্থানে আছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান। তিনি ২০১৪ সাল থেকে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং এর আগে তিনি ২০০৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত একে পার্টি (জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি) তুরস্কের ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে পরপর চারবার (২০০২, ২০০৭, ২০১১, ২০১৪) সংসদীয় নির্বাচনে বিজয়ী হয়।

পঞ্চম স্থানে আছেন জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ। তাঁর পিতা হুসাইন বিন তালাল মারা যাওয়ার পর ১৯৯৯ সালে তিনি সিংহাসনে আরোহণ করেন। তিনি হাশেমি রাজপরিবারের সদস্য। এই পরিবার ১৯২১ সাল থেকে জর্ডান শাসন করে আসছে।

ষষ্ঠ স্থানে আছেন আল্লামা মুহাম্মাদ তাকি উসমানি। তিনি ভারতীয় উপমহাদেশের একজন প্রখ্যাত ইসলামী ব্যক্তিত্ব। তিনি ইসলামী ফিকহ, হাদিস, অর্থনীতি ও তাসাউফ বিশেষজ্ঞ। তিনি ১৯৮০ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় শরিয়াহ আদালতের এবং ১৯৮২ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের শরিয়াহ আপিল বেঞ্চের বিচারক ছিলেন।

সূত্র
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম অবলম্বনে

অনলাইন ডেস্ক

সংবাদটি এবং সংযুক্ত মিডিয়া (ছবি-ভিডিও-গ্রাফ) বিভিন্ন দেশীয় অথবা আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা হতে সংগ্রহীত অথবা অনুবাদকৃত। এর কোন কৃতিত্ব অথবা কপিরাইট আমাদের নয়।

এই বিভাগের আরো সংবাদ

Back to top button