গিনেস ওয়ার্ল্ডে মিসরের নতুন রেকর্ড

মিসর বিশ্বের মানব সৃষ্ট গভীরতম সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করছে

লোহিত সাগরের পশ্চিম পাড়ের সুয়েজ উপসাগরের আইন ছুখনা বন্দর টি বিশ্বের সবচেয়ে গভীরতম মানবসৃষ্ট অববাহিকা। যার গভীরতার জন্য ১৯ মিটার জমি খনন করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছে মিশর।

আজ সকালে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের প্রতিনিধির হাত থেকে মিশরের শিল্প উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী সভার ভাইস-চেয়ারম্যান এবং পরিবহন ও শিল্প মন্ত্রী মেজর জেনারেল ইন্জিনিয়ার কামেল আল ওয়াযীর এই সার্টিফিকেট টি স্বহস্তে গ্রহণ করেছেন।

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেনঃআজকের এই বিশ্ব রেকর্ড মিশরের বন্দরগুলির জন্য এটি একটি বিরল আন্তর্জাতিক অর্জন। যা স্থলভাগে সবচেয়ে গভীরতম মানবসৃষ্ট বন্দর অববাহিকা হিসেবে স্বীকৃতি পেলো, যার গভীরতা ১৭ মিটার থেকে ১৯ মিটারে উন্নীত করা হয়েছে।

এই অসাধারণ অর্জন সম্ভব হয়েছে মিশরীয় কর্মী, প্রকৌশলী এবং বিশেষায়িত জাতীয় কোম্পানিগুলির প্রচেষ্টার মাধ্যমে। যারা ধারাবাহিকভাবে মিশরের অভ্যন্তরে এবং আন্তর্জাতিকভাবে নতুন সাফল্য অর্জন করেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মী – প্রকৌশলীদের দক্ষতা, চতুরতা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনে তাদের ক্ষমতা দারুন ভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। অধিকন্তু, ২০০ টিরও বেশি মিশরীয় জাতীয় কোম্পানি এই বিশ্বখ্যাত অর্জনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে।

মাননীয় মন্ত্রী আরো উল্লেখ করেন বলেনঃ আইনুস্ সোখনা বন্দরের এই উল্লেখযোগ্য উন্নয়নে রাষ্ট্রপতি আবদুল ফাত্তাহ আল-সিসির নির্দেশনা তাঁর সুদূর প্রসারী চিন্তা ভাবনার ফসল হিসেবে বিবেচিত।

সেইসব মহান লক্ষ্য উদ্দেশ্যের মধ্যে অন্যতম কয়েকটি হলোঃ

(১) লোহিত সাগর ও ভূমধ্যসাগর দুটির মধ্যে সড়ক যোগাযোগ স্থাপন সুসম্পন্ন করণ। ইতিমধ্যেই দ্রুত রেল পথের কাজ সফলতার প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে।

(২) মিশরের অনন্য ভৌগোলিক অবস্থান এবং বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিপিং লেনের উপস্থিতির গুরুত্বের উপর জোর দেয়া।

(৩) আইনুস্ সুখনা বন্দরকে লোহিত সাগরের একটি বিশ্ব বাণিজ্যের হাব হিসেবে রূপান্তর করা, যা মিশরের পূর্ব উপকূলে একটি প্রধান প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করবে।

(৪) এটি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক আমদানি ও রপ্তানি কার্যকলাপকে সহজতর করবে, বিশ্ব বাণিজ্য মানচিত্রে মিশরের অবস্থান আরো দৃঢ় ও উন্নত করবে।

এবং (৫) “মিশরকে আন্তর্জাতিক পরিবহন, সরবরাহ এবং ট্রানজিট বাণিজ্যের জন্য একটি আঞ্চলিক কেন্দ্রে রূপান্তরিত করার” চূড়ান্ত লক্ষ্যে বিশেষ অবদান রাখবে।

তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে পরিবহন মন্ত্রণালয় “মিশর ভিশন ২০৩০” এর একটি মূল স্তম্ভ হিসেবে সামুদ্রিক পরিবহন শিল্পকে আধুনিকীকরণের জন্য একটি বিস্তৃত পরিকল্পনা তৈরি করেছে।

 

ঈসা আহমাদ ইসহাক

সহযোগী সম্পাদক : নিউজ বিভাগ এবং প্রধান অনুবাদক: আরবী বিভাগ

এই বিভাগের আরো সংবাদ

Back to top button