২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস
স্বাধীনতা দিবসে সুশাসনের প্রত্যয়
২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে বাঙালির জন্য নতুন একটি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ শুরু হয়।
হানাদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের সশস্ত্র লড়াই শুরু করে এ দেশের মুক্তিকামী জনতা। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়েছে।
অর্থনৈতিক মুক্তি আর সুশাসনের প্রত্যয়ে উদযাপন করা হলো স্বাধীনতার ৫১তম বার্ষিকী। করোনা মহামারির মধ্যে দুই বছর পর এবার অনেকটা উৎসবমুখর পরিবেশে সারা দেশে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়।
সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিপুলসংখ্যক মানুষের উপস্থিতি প্রাণবন্ত করে তোলে এবারের স্বাধীনতা দিবসকে। দুই বছর পর এবার রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধানসহ সর্বস্তরের মানুষ সশরীরে শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
প্রায় দুই যুগ ধারাবাহিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এ দেশের মানুষের মুক্তির আকাঙ্ক্ষাকে শেষ করে দিতে বর্বর হত্যাকাণ্ডে মেতে ওঠে।
২৬শে মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী গ্রেপ্তার করে। এর আগেই তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তাই ২৬শে মার্চ জাতির জন্য অনন্য একটি দিন।
স্বাধীনতা ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি করা হয়। দীর্ঘ ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বঙ্গবন্ধুকে কারাগারে বন্দি রাখা হয়। পাকিস্তানি পরাধীনতা থেকে মুুক্তির লড়াইয়ে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হন। ৯ মাসের যুদ্ধে এত বেশি মানুষ হত্যার ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
রাষ্ট্রীয়ভাবে এইদিন ছুটির দিন। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।