মিশরে রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠক, ছাত্রদের দাবি পূরণ
রাষ্ট্রদূত ম্যাডামের সাথে জরুরী বৈঠক ও ইত্তেহাদের ১৭ দফা দাবি
সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষিতে মিসরে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সংগঠন বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন ‘ইত্তিহাদে’র কার্যকরী পরিষদ ২০২৩-২৪ সেশন কর্তৃক প্রচারিত পোস্ট টি নিম্নরূপ।
প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ! দূতাবাসকেন্দ্রিক দীর্ঘ প্রায় আট মাসের নানান ভোগান্তি ও একজন মায়ের আর্তনাদের সাম্প্রতিক ইস্যুটি সর্ব মহলে আলোচিত হতে থাকলে গত ২১শে আগষ্ট বুধবার ইত্তেহাদের বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রচারিত হওয়ার পর পরই বাংলাদেশ দূতাবাস মিশরের রাষ্ট্রদূত ম্যাডামের পক্ষ থেকে মিশরস্থ সকল বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর ঐক্য প্লাটফর্ম বাংলাদেশ স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন, মিশর (ইত্তেহাদ) এর সাথে অফিশিয়ালভাবে যোগাযোগ করা হয় এবং বিষয়গুলো আলোচনায় বসে সমাধানের আহ্বান জানানো হয়। রাষ্ট্রদূত ম্যাডামের বৈঠকের প্রস্তাবনা ও সার্বিক পরিস্থিতি সামনে রেখে চূড়ান্ত পদক্ষেপ গ্ৰহণের জন্য ইত্তেহাদ কার্যকরী পরিষদের উদ্যোগে রাতেই ইত্তেহাদের উপদেষ্টা পরিষদ ও সিনিয়র শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে বিশেষ পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বৈঠকে সার্বিক পর্যালোচনার পর শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ও দাবিগুলো নিয়ে দূতাবাসের সাথে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সেই প্রেক্ষিতে ২২শে আগষ্ট বৃহস্পতিবার মিশরস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মাননীয়া রাষ্ট্রদূত ম্যাডামের সাথে ইত্তেহাদের তিন ঘণ্টাব্যাপী বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ইত্তেহাদের উপদেষ্টা পরিষদ, কার্যকরী পরিষদ ও সিনিয়র শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে চৌদ্দজনের একটি সার্বজনীন প্রতিনিধি দল মিশরস্থ সকল শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে সার্বিক বিষয় নিয়ে রাষ্ট্রদূত ম্যাডামের সাথে আলোচনা করেন।
উক্ত বৈঠকে দূতাবাস সেবা ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। এক পর্যায়ে ইত্তেহাদের উপদেষ্টা প্রধান জনাব খালিদ মানসুর শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দূতাবাস বরাবর ১৭ দফা দাবি উপস্থাপন করেন। ইত্তেহাদের সহ-সভাপতি জনাব ফখরুল ইসলাম দাবিগুলোর ব্যাখ্যা প্রদানসহ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন…। উক্ত বৈঠকেই রাষ্ট্রদূত ম্যাডাম দাবিগুলো নিয়ে দূতাবাসের সিনিয়র অফিসারদের সাথে আলোচনা করেন এবং শিক্ষার্থীদের সবগুলো দাবি মেনে নিয়ে আগামী কর্মদিবস থেকেই তা বাস্তবায়নে স্বচেষ্ট হওয়ার নির্দেশ দেন। (১০ নং দাবির অভিযুক্ত দুজন কর্মকর্তা বৈঠকস্থলে উপস্থিত হয়ে সকলের কাছে পূর্বের অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করেন এবং কখনোই এর পুনরাবৃত্তি ঘটবে না বলে মৌখিক প্রতিজ্ঞা করেন…। ফলে রাষ্ট্রদূত ম্যাডাম তাদের শেষ বারের মতো সুযোগ দিতে বলেন এবং নিজে তাদের দুজনকে বিশেষ নজরদারিতে রাখবেন বলে জানান।) সেই সাথে পূর্বের ঘটে যাওয়া সবকিছুর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
সেই প্রেক্ষিতে আমরা সকল শিক্ষার্থীকে শান্ত থাকার এবং যেকোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা থেকে বিরত থাকার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
সূত্র: বাংলাদেশ স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন, মিশর।