বাংলাদেশের দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ হন অসংখ্য সাধারণ মানুষ! পুলিশের গুলির মুখে বুক পেতে দিলে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদ।
তিনি সহ সকল শহীদের স্মরণে মিশরের বিখ্যাত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘দারুল আজহার বাংলাদেশ’ এর উদ্যোগে কোটা সংস্কার আন্দোলনে শহীদ হওয়া সকল ছাত্র-জনতার স্মরণে—দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
গত (৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানী কায়রোস্থ দার্রাসা এলাকায় প্রতিষ্ঠানটির হলরুমে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদ সহ সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে আলোচনা ও দোয়া শেষে উপস্থিত সবার মাঝে তবারক বিতরণ করা হয়।
“দারুল আজহার বাংলাদেশ” এর চেয়ারম্যান মাওলানা হাবিবুল বাশার আল-আজহারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন
মিশরে বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন সহ অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। দোয়া মাহফিলে বক্তব্য রাখেন আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষার্থী বৃন্দ।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা হাবিবুল বাশার বলেন, নিজ মাতৃভূমিকে উন্নতির শিখরে পৌঁছতে এবং সমৃদ্ধশীল আগামীর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে—নিজেদের মেধা ও যোগ্যতাকে শাণিত করে শ্রম ও চেষ্টাকে ধারাবাহিক করতে চিন্তা ও গবেষনাকে কাজে লাগাতে হবে।
সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতায় দেশে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এতে তুমুল বিতর্কের মুখে পড়ে আওয়ামী লীগ সরকার। জুলাই মাসে শুরু হওয়া ছাত্র-আন্দোলন ধীরে ধীরে তীব্র হতে থাকে। অবশেষে ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলন ও গণবিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করে হেলিকপ্টার যোগে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।