Site icon World 24 News Network

ইউক্রেন সেনাদের হাতে জিম্মি ৫ বাংলাদেশি

ইউক্রেনের সেনারা পাঁচ বাংলাদেশিকে তাঁদের শিবিরে জিম্মি করেছেন। জিম্মি ওই বাংলাদেশিরা তাঁদের উদ্ধারের জন্য আকুতি জানাচ্ছেন।

এমন একটি ভিডিও গতকাল শুক্রবার ঢাকায় রাশিয়া দূতাবাস তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছে।

ভিডিও বার্তাটি ওই বাংলাদেশিরাই পাঠিয়েছেন।

জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগ বলেছে, ইউক্রেনের কিভারতিসি শহরের একটি অভিবাসী শিবিরে আটকে আছেন পাঁচ বাংলাদেশিসহ শতাধিক বিদেশি।

ভিডিওতে রিয়াদুল মালিক নামের একজন বাংলাদেশি নিজের পরিচয় দিয়ে জানান, সেখানে আরো কয়েকজন বাংলাদেশি আছেন। একজন দরজায় পাহারা দিচ্ছেন। তাঁদের সবার মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছে। একটি মোবাইল তাঁরা লুকিয়ে রাখতে পেরেছেন।

রিয়াদুল মালিক বলেন, ‘এই শিবিরকে ইউক্রেনের সেনারা ঘাঁটি বানিয়েছে। রাশিয়া সেনাঘাঁটি দেখে দেখে বোমা ফেলছে। আমরা অনেক ভয়ে আছি। আমাদের আটকে রেখেছে জিম্মির মতো করে। ১০০-র ওপর মানুষ আছে। রাত হলে বোমার শব্দ শুনতে পাই। গুলির শব্দ শুনতে পাই। লাইট বন্ধ করে দেই। আমরা যেখানে তিনজন মানুষ থাকি, সেখানে ১০ জন এনে রেখেছে। ’

শিবিরে থাকা ব্যক্তিদের মারধরের অভিযোগ করেন রিয়াদুল মালিক। তিনি বলেন, ‘আমাদের মারছে। ইউক্রেনের অন্য ক্যাম্পগুলোর সবই বোমা ফেলে উড়িয়ে দিয়েছে এরই মধ্যে। এই শিবিরটা শুধু আছে। আমরা জানি, না, আমাদের জীবনের নিশ্চয়তা কতটুকু আছে। আমি আকুল আবেদন জানাচ্ছি, আমাদের এখান থেকে উদ্ধার করার জন্য। ’

রিয়াদুল বলেন, ‘আমাদের জীবনের এক মিনিটের এখন নিশ্চয়তা নেই। আমাদের অপরাধ একটাই, আমরা অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিতে গিয়েছিলাম। আমার এরই মধ্যে ১৫ মাস হয়ে গেছে। এরই মধ্যে অন্য শিবির থেকে লোকজনকে ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু আমাদের ছাড়ছে না। ’ তিনি বলেন, ‘আমরা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। আমরা বেলারুশ থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে আছি। যেকোনো সময় যেকোনো কিছু হতে পারে। ’

উদ্ধার করার জন্য আকুল আবেদন জানিয়ে রিয়াদুল বলেন, ‘আমাদের জীবন এখন অনিশ্চয়তার মধ্যে। আমরা অনেক আতঙ্কে আছি। এখানে অনেক দেশের ১০০ জনের ওপর মানুষ আছে। নারী ও শিশু আছে। ওরা কাউকে মুক্তি দিচ্ছে না। ’

ইউক্রেনে বাংলাদেশের দূতাবাস নেই। প্রতিবেশী পোল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাস ইউক্রেনে বাংলাদেশের স্বার্থ দেখভাল করে। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বাইরে থেকে কেউ সেখানে গিয়ে কাউকে উদ্ধারের সুযোগ নেই।

ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছিল, ইউক্রেনের কারাগারে বা বন্দিশিবিরে থাকা বাংলাদেশিদেরও উদ্ধার করে নিয়ে আসার লক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মাধ্যমে কাজ করছে।

Exit mobile version