চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, চীন যুক্তরাষ্ট্রকে যেকোনো বিষয়ে মোকাবেলা করতে ভয় পায় না। তবে পারস্পরের উপকার হবে- এমন সহযোগিতাকে স্বাগত জানায়। সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা এক বক্তৃতায় ওয়াং বলেন, দুই দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতায় ‘কোনো ক্ষতি’ নেই, তবে সেটি ‘ইতিবাচক’ হওয়া উচিত। তিনি বলেন, মার্কিন-চীন সম্পর্কের বর্তমান সমস্যাগুলো তাদের ‘কৌশলগত ভুলের’ কারণে হয়েছে।
গত মাসে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার প্রতিপক্ষ শি চিনপিংকে মানবাধিকার বিষয়ে চাপ দেন। তাদের ভার্চুয়াল সম্মেলনের সময় শি হুঁশিয়ারি দেন, চীন তাইওয়ানের সম্পর্কে উসকানির জবাব দেবে।
তাইওয়ান সম্পর্কে বলতে গিয়ে ওয়াং দ্বীপটিকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য বেইজিংয়ের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি তাইওয়ানকে একটি ‘পর্যটক’ বলে অভিহিত করেন এবং বলেন- এটি অবশেষে বাড়িতে ফিরবে। সেই সঙ্গে সতর্ক করে দেন, এটি দাবা খেলা নয়।
চীন গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানকে তার নিজস্ব এলাকা বলে দাবি করে। গত দুই বছরে বেইজিং তার সার্বভৌমত্ব দাবি করার জন্য সামরিক ও কূটনৈতিক চাপ বাড়িয়েছে। বিষয়টি তাইপেকে ক্ষুব্ধ করেছে এবং ওয়াশিংটনে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভূমিকা ছাড়াও একজন স্টেট কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী ওয়াং বলেন, বর্তমান উত্তেজনার কারণ ‘স্বাধীনতার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করা’ তাইওয়ান সরকারের প্রচেষ্টা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশগুলো ‘চীনকে নিয়ন্ত্রণ করতে তাইওয়ানকে ব্যবহার করতে চায়’।
চীনের তাইওয়ান বিষয়ক দপ্তরের সাবেক প্রধান ওয়াং বলেন, এই বিকৃত কর্মগুলোই স্থিতাবস্থাকে পরিবর্তন করছে এবং তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি ক্ষুণ্ন করছে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঐকমত্য এবং সম্পর্কের মৌলিক নিয়ম লঙ্ঘন করছে। যারা তাইওয়ানের আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা চায় তাদের ‘অহংকারকে ধাক্কা দিতে’ চীন ‘পাল্টা সব ব্যবস্থা’ নেবে।