মার্কিনীরা ছাড়ল আফগান, রেখে গেল আইএস খোরাসান

আমেরিকা বলছে তারা আফগানিস্তান ছেড়ে চলে গেছে কিন্তু তালেবানরা আইসিসের মুখোমুখি হবে!
মার্কিন সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ডার জেনারেল ম্যাককেনজি আফগানিস্তান থেকে তার শেষ বিমানের প্রস্থান ঘোষণা করেছেন এবং তার বিশ বছরের মিশন সম্পন্ন করেছেন। তিনি বলেন “আমরা এই জায়গা ছেড়েছি কিন্তু তালেবানরা আইসিস খুরাসানের মুখোমুখি হবে বড় মাপের। কেননা এই দলের অধিকাংশ যোদ্ধারা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে এবং এখন তারা নতুন যুদ্ধ লাগিয়েছে”।
তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ দাবি করেছেন, বিদেশি সেনারা চলে যাওয়ার পর আইএস-কে সদস্যরা আর হামলা চালাবে না। এ ছাড়া আইএস-কে জঙ্গিদের দমন করার সক্ষমতা তালেবানের রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মার্কিন সামরিক বাহিনীর জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি জানিয়েছেন, তারা ছয় হাজার মার্কিন নাগরিকসহ ৭৯ হাজার মানুষকে কাবুল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে গেছে। ১৪ আগস্ট তালেবান কাবুল দখল করার পর অল্প সময়ের মধ্যে তাদের নেওয়া হয়। এক ব্রিফিংয়ে কেনেথ ম্যাকেঞ্জি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন হয়েছে ঘোষণা করতে আমি এখানে উপস্থিত হয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আজ রাতের এ প্রত্যাহার শুধু সেনা প্রত্যাহারই নয়, বরং এটি প্রায় ২০ বছর ধরে চলা যুদ্ধেরও সমাপ্তি, যে যুদ্ধ আফগানিস্তানে ২০০১ সালের ১ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছিল।’
গত এপ্রিলেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আফগানিস্তান থেকে সৈন্য পুরোপুরি প্রত্যাহারে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। সেই ঘোষণা অনুযায়ী সৈন্য প্রত্যাহার শেষ করল মার্কিনিরা। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে আল-কায়েদার জঙ্গি হামলার পর আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক বাহিনী অভিযান শুরু করে। অবশেষে সেই আফগান যুদ্ধের অবসান হলো।
এদিকে আফগানিস্তান ইস্যুতে গত রাতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হওয়ার কথা। বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক ডেকেছে যুক্তরাষ্ট্র। আরেকটি বৈঠকে বসবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য।
কাবুলে নেমেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিমান
তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর গতকাল সোমবার প্রথমবারের মতো ওষুধ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের চালান নিয়ে সেখানে নেমেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) একটি বিমান।