‘অর্থনৈতিক কূটনীতি, আনবে দেশের অর্থনীতি’ স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ-মিশর বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করেছে কায়রোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮শে জুলাই ২০২২) রাজধানীর তাহরীর স্কয়ার এর পাশে মিশরের বিখ্যাত হোটেল রামসিস হিলটনে বাংলাদেশ দুতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মুহাম্মদ ইসমাইল হুসাইন এর সঞ্চালনায়, মিশরে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্যে উপস্থিত মিশরীয় অতিথিদের নিকট বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সাম্প্রতিক অগ্রগতি তুলে ধরার পাশাপাশি বাংলাদেশ- মিশরের মধ্যেকার ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন, যার সাম্প্রতিক সম্ভাবনা ও ব্যাপ্তি উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, এক দশকের ও বেশি সময় ধরে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি সাধনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ মিশরের সংগে সার্বিক অংশিদারিত্বমুলক সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী। তিনি বাংলাদেশের অমিত অর্থনৈতিক সম্ভাবনা তুলে ধরার পাশাপাশি সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্র সমূহের উপর আলোকপাত করেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি মিশরের এপারেল এক্সপোর্ট কাউন্সেলের প্রেসিডেন্ট মিস মারিয়ে লুইস তার বক্তব্যে বাংলাদেশে বানিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ ও সম্ভাবনা সম্পর্কে সম্যক ধারণা গ্রহন করেন। তার বক্তব্যে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রক্ষেপণ সম্পর্কে তুলনামূলক বিশ্লেষণ তুলে ধরেন। তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন যে, বাংলাদেশের চলমান ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিনিয়োগ- বান্ধব পরিবেশ ও নীতি, প্রতিযোগিতামূলক শ্রম ব্যায় প্রভৃতি বিবেচনায় বাংলাদেশ মিশরীয় ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের জন্য বিনিয়োগের আকর্ষণীয় গন্তব্যস্থল হতে পারে। তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও বিনিয়োগের জন্য প্রদত্ত আনুষঙ্গিক সুবিধা বিবেচনা করে মিশরীয় বিনিয়োগকারীদেরকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ এর উৎসাহ প্রধান করেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথি আরব উইমেন ইনভেস্টর ইউনিয়ন এর প্রেসিডেন্ট ড. হুদা জালাল ইয়াসা তার বক্তব্যে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন সম্পর্কে আলোকপাত করেন এবং এ ক্ষেত্রে উভয় দেশের সহযোগিতা বৃদ্ধির তাগিদ দেন।
বৃটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশী অধ্যাপক ড. শেখ শামীম হাসনাইন সেমিনারে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা সম্পর্কে মিশরীয় ব্যবসায়ীদেরকে ধারনা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি, সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও অর্থনৈতিক সম্ভবনা সম্পর্কিত পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।
সেমিনারে মিশরে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, বিভিন্ন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, মিশর সরকারের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবর্গ, বেসামরিক বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সমুহের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, সংবাদ কর্মী ও মিশরে অবস্থানরত বাংলাদেশি ব্যাবসায়ীগন উপস্থিত ছিলেন।