অত্যন্ত ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সফলভাবে সমাপ্ত হল “ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন ফর আল আযহার গ্র্যাজুয়েটস বাংলাদেশ” শাখার অভিষেক অনুষ্ঠান। প্রায় ১১শত বছরের বিশ্বের প্রাচীনতম বিদ্যাপিঠের সাথে দেশে এই প্রথম এই সংগঠনটির কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হল, আলহামদুলিল্লাহ্।
দীর্ঘ চার বছরের প্রচেষ্টা সফল হল। সংগঠনটি মৌখিকভাবে অনুমোদন পায় ২০১৮ সালে। করোনা ও বিভিন্ন জটিলতার কারনে অভিষেক অনুষ্ঠান বিলম্ব হলেও গতকাল ১৪ মে ২০২২ ইং, শনিবার, সন্ধ্যা ৭:০০ টায় “দ্যা ওয়েস্টিন ঢাকায়” বাংলাদেশ শাখার অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাইখুল আজ্বহার ইমামুল আকবার শায়খ ড. আহমাদ আত তাইয়্যেব হাফিজাহুল্লাহর অন্যতম প্রতিনিধি উস্তাদ ড. নাযির মাহমুদ আইয়্যাদ (হাফি.), বাগদাদ শরীফের মুতাওয়াল্লী ও বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.) এর বংশধর শায়খ সৈয়দ আফিফ উদ্দিন জিলানী হুজুর (হাফি.), বাংলাদেশ মিশরের রাষ্ট্রদূত মহোদয় উস্তাদ হাইতাম গাব্বাশি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মহোদয়।
সম্মেলনের সভাপতি হিসেবে ছিলেন আলহাজ্ব শায়খ সূফী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (দাঃবাঃআঃ)- চেয়ারম্যান বাংলাদেশ শাখা ও চেয়ারম্যান পিএইচপি ফ্যামিলি। এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন দ্যা ওয়েস্টিন ঢাকার মালিক, বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম, সাংবাদিক, গবেষক, আল আযহারের গ্রাজুয়েটসবৃন্দ ও মেহমানবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে শাখার সম্মানিত চেয়ারম্যান মহোদয় কে চূড়ান্ত অনুমোদন পত্র, ক্রেষ্ট ও আযহারী টুপি পরিধান করিয়ে দেন ইমামুল আকবার শায়খুল আযহারের প্রতিনিধি মহোদয় উস্তাদ ড. নাযির মাহমুদ আইয়্যাদ (দাঃবাঃআঃ)।
সংগঠনটির লক্ষ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে আযহার শরীফের সঠিক আদর্শ বা মানহাজকে দেশের সর্বত্র সব জায়গায় প্রচার প্রসারে কাজ করা এবং আযহার শরীফের আকিদা মাযহাবের ক্ষত্রে কেউ যেন মিসগাইড করতে না পারে সে ব্যাপারে ব্যাপক ভূমিকা রাখা। এদেশে শিক্ষার্থীদের বৃত্তিসহ আযহার শরীফে প্রেরন করা, ইমামদেরকে ইমাম ট্রেনিংয়ের জন্য আযহার শরীফে প্রেরন করা, আযহারের আওতাধীন আরবী ভাষা ইনষ্টিটিউট, ইসলামিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি।
এ শাখার সকল কাজ বাস্তবায়নের জন্য পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান মহোদয় আলহাজ্ব শায়খ সূফী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান হাফিজাহুল্লাহর প্রতি এবং পিএইচপি ফ্যামিলির প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আল্লাহ্ তাআলা ওনাদের খেদমত কবুল করুন আমিন ইয়া রব্বাল আলামিন।
অনুষ্ঠান সফল করার জন্য যারা নিরলসভাবে পরিশ্রম করেছেন এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন আল্লাহ্ তাআলা সকলকে উত্তম প্রতিদান দান করুন আমিন ইয়া রব্বাল আলামিন।