দীর্ঘ সংগ্রাম ও সশস্ত্র যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে জন্ম নিয়েছিল বাংলাদেশ নামের স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। এই দিনে মুক্তিকামী জনতার কাছে আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। ইতিহাসের এই দিনেই দুই পক্ষ বসে বাঙালির বিজয়ের দলিলে সই করে। সেই দিনটির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সারা দেশের মানুষকে শপথ পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ শিরোনামে বৃহস্পতি ও শুক্রবার (১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ উপস্থিত থাকছেন।
বিকাল পৌনে ৫টায় প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি সারা দেশের সঙ্গে যুক্ত থেকে শপথ বাক্য পাঠ করান। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা।
এর আগে বিকাল সাড়ে ৪টায় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠানস্থলে আসেন। এরপরই জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। কিছুক্ষণ পরেই জাতীকে শপথ করাতে প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে উঠেন।
দেশের বিভাগীয় জেলা, জেলা ও উপজেলা স্টেডিয়াম ও বিজয় দিবসের নির্ধারিত ভেন্যু থেকে সাধারণ মানুষ জাতীয় পতাকা হাতে শপথ বাক্য পাঠ করেন।
বিজয় দিবসের দিনে দেশবাসীকে সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের যে শপথ পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী- নিচে তা দেওয়া হলো:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্তা।
আজ বিজয় দিবসে দৃপ্তকণ্ঠে শপথ করছি যে, শহিদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না- দেশকে ভালোবাসব, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলব।
মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হোন।