Site icon World 24 News Network

কাশ্মীরের প্রবীণ নেতা সৈয়দ আলী শাহ গিলানি ইন্তেকাল করলেন

কাশ্মীরের নেতা সৈয়দ আলী গিলানি

কাশ্মীরে ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সময় প্রচারণা চালানো এই নেতা গত ১১ বছরের অধিকাংশ সময়ই গৃহবন্দি ছিলেন। ভারত প্রশাসন তাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হিসেবে বিবেচনা করতো।

গিলানির মৃত্যুর পর উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে এমন আশঙ্কায় শ্রীনগরে নিরাপত্তার কড়াকড়ি বাড়িয়েছে ভারত প্রশাসন। গিলানির বাড়ির আশেপাশের রাস্তায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে প্রতিরোধ তৈরি করেছে তারা।

বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া খবরে বলা হচ্ছে সেখানে ইন্টারনেট সেবা এবং ফোন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শহরে কারফিউ দেয়া হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভারত শাসিত কাশ্মীরে এই ধরণের পদক্ষেপ এর আগেও নেয়া হয়েছে। পুলিশ এই ধরণের পদক্ষেপকে সতর্কতামূলক হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকে। তাদের ভাষ্যমতে, অনলাইনে গুজব ছড়িয়ে সহিংসতায় উস্কানি দেয়া যেন সম্ভব না হয় তা নিশ্চিত করতে এই ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হয়ে থাকে।

ভারত-শাসিত কাশ্মীরে গত ৩০ বছর ধরে সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। ভারতের প্রশাসনের ভাষ্য অনুযায়ী বিচ্ছিন্নতাবাদী আগ্রাসন বাড়ার কারণেই এই সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। তবে অনেক কাশ্মীরিই মনে করেন ভারতের শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করায় কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী মানুষের বিরুদ্ধে ভারতীয় প্রশাসন আগ্রাসন চালাচ্ছে।

ভারতে গিলানি সম্পর্কে একাধিক মতবাদ চালু রয়েছে। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন গিলানি সবসময় কাশ্মীরের স্বাধীনতার কথা বললেও ব্যক্তিগতভাবে পাকিস্তানের সাথে কাশ্মীরের যোগ দেয়া সমর্থন করতেন।

তার মৃত্যুতে ভারতের কাশ্মীরি নেতাদের পাশাপাশি পাকিস্তানি রাজনীতিবিদরাও শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার টুইটারে গিলানিকে ‘মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন এবং বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছেন।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র ‘কাশ্মীরি প্রতিরোধের প্রবাদ প্রতিম নেতা’ গিলানির মৃত্যুতে শোক জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে।

Exit mobile version