ইরাক ও বাংলাদেশের জনগণের সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি পাবে : স্পিকার
‘ইরাক দূতাবাস’ আয়োজিত ইরাক রাষ্ট্রের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠান
ইরাক ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক আরো বদ্ধি পাবে, এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ইরাক বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। ইরাকের সঙ্গে বন্ধুত্বের ঐতিহাসিক ভিত রচনা করে গেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
আজ বুধবার ‘ইরাক দূতাবাস’ আয়োজিত ইরাক রাষ্ট্রের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে ইরাকের চার্জ ডি এফেয়ার্স আব্দুল সালাম সাদ্দাম মুহাইছেন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুরুতে ইরাকের ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এসময় ইরাকের শতবর্ষের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে একটি ডকুমেন্টারিও প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্পিকার বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে ইরাকের সঙ্গে বন্ধুত্বের গুরুত্বের বিষয়টি বঙ্গবন্ধু যথাযথভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আগামীতে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে উভয় দেশের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। স্বাধীনতার পর আরব দেশের মধ্যে প্রথম রাষ্ট্র হিসেবে ইরাক বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ায় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
ইরাক একটি মহান মুসলিম রাষ্ট্র উল্লেখ করে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ইরাক প্রতিষ্ঠার শতবর্ষের মাহেন্দ্রক্ষণ একটি তাৎপর্যপূর্ণ মাইলস্টোন। শতবর্ষে তারা সবদিক থেকে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধন করেছেন। ইরাকের শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান তিনি।